সুদীপ রায়চৌধুরী: চাপের মুখে অবশেষে পদক্ষেপ। সৌদি আরবে বসে মিনাখাঁয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তৃণমূল নেতার প্রার্থীপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত। তবে কীভাবে বিদেশে বসে মনোনয়ন জমা দিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লকের গোটন গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসন এবং মালদহের হবিবপুরের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে স্ক্রুটিনিতে সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তার ফলে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।
হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী মোহারুদ্দিন গাজি গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান। তাঁর ১৬ জুলাই রাজ্যে ফেরার কথা। প্রার্থী অনুপস্থিত হলেও মনোনয়নপত্র জমা পড়ে যায়। সৌদি আরবে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মোহারুদ্দিন, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। মামলাকারীর আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামীম আহমেদের অভিযোগ, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: হিন্দু পরিচয়ে বিয়ে, স্ত্রীকে ধর্ষণে মদত, আদ্রার TMC নেতা খুনের মূলচক্রীর কীর্তিতে হতবাক পুলিশ]
কবে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ল, কবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁর নাম আপলোড হল, এই সংক্রান্ত তথ্য হাই কোর্টে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এছাড়া এই মামলায় অভিবাসন দপ্তরকে পার্টি করার নির্দেশও দেওয়া হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই অবশেষে মনোনয়ন বাতিলের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া প্রার্থীর মৃত্যুতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের আট আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদের দুটি এবং কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান ও কালিম্পংয়ের একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। মুর্শিদাবাদের নওদায় ভোট হবে একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে।