সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসকে আদৌ পরিবার বলা যায় না। কারণ সেখানে না আছে কোনও মহিলা, না আছে বর্ষীয়ানদের প্রতি সম্মান। তাই একে সংঘ পরিবার বলার কোনও অর্থই নেই। এভাবেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (RSS) আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার সকালে এক টুইটে এভাবেই কটাক্ষ করতে দেখা গেল রাহুলকে।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? টুইটারে রাহুল লেখেন, ”আমার মনে হয়, আরএসএস বা তাদের কোনও সংগঠনকেই সংঘ পরিবার বলা ঠিক নয়। পরিবারে মহিলারা থাকেন। বর্ষীয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে। করুণা ও স্নেহ থাকে। যা আরএসএস-এর মধ্যে নেই। আরএসএসকে আর সংঘ পরিবার বলব না।”
কিন্তু কেন হঠাৎ আরএসএসের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি? গতকাল সন্ধ্যাতেও সংঘ পরিবারের প্রতি আক্রমণাত্মক টুইট করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আসলে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ট্রেন থেকে খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীদের নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংঘ পরিবারের প্রোপাগান্ডার কুপ্রভাবকেই দায়ী করেছেন তিনি। আজ সকালের টুইটটি কালকের টুইটেরই এক সম্প্রসারণ।
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ SSC চাকরি প্রার্থীদের]
ঠিক কী হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে? উৎকল এক্সপ্রেসে হরিদ্বার থেকে পুরী যাচ্ছিলেন দু’জন সন্ন্যাসিনী ও দুই শিক্ষানবিশ। সেই সময় আচমকাই এবিভিপির কয়েকজন মিলে তাঁদের ঘিরে ধরে। পরে ওই চারজনকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবিভিপির ওই সদস্যরা ঋষিকেশে ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়েছিল। ওই সন্ন্যাসিনীদের দেখে তাদের সন্দেহ হয়, সঙ্গের শিক্ষানবিশ দুই মহিলাকে ধর্মান্তরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তারাই রেল পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনার তুমুল সমালোচনা করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন চিঠি লিখে অমিত শাহের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাহুলও তাঁর টুইটে তীব্র সমালোচনা করেছেন এই ঘটনার।