সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি সই হওয়ার পর এই প্রথমবার পণবন্দিদের মুক্তি দিল তারা। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৭ পণবন্দিকে। প্রথম দফায় আরও ১৩জন পণবন্দিকে ফিরিয়ে দেবে হামাস। তার পরিবর্তে ১৯০০ প্যালেস্তিনীয়কে জেল থেকে মুক্তি দেবে ইজরায়েল। দু'বছর পর পণবন্দিদের মুক্তির খবর পেয়ে উৎসবে মেতেছে গোটা ইজরায়েল।
জানা গিয়েছে, ইতান মোর, গালি বারমান, জিভ বারমান, মাতান আংরিস্ত, ওমরি মিরান, গিলবোয়া দালাল এবং আলন আহেলকে প্রথম দফায় মুক্তি দিয়েছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তাঁদের পণবন্দি করেছিল প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। দীর্ঘ ২ বছর পর অবশেষে তাঁরা মুক্তি পাচ্ছেন। গোপন ডেরা থেকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৭ পণবন্দিকে। সেখান থেকে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে তাঁদের।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে এসে নিজেদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে দেখা করবেন ৭ পণবন্দি। সেখান থেকেই হেলিকপ্টারে চাপিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। দুই বছর বন্দিদশা কাটিয়ে কেমন আছেন পণবন্দিরা, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে পণবন্দিদের মুক্তির খবর আসতেই কার্যত উৎসবে মেতে উঠেছেন ইজরায়েলি আমজনতা। প্রতি মুহূর্তের খবর সম্প্রচার করতে ইজরায়েলের পথে পথে জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙানো হয়েছে। সেখানে হাজারে হাজারে ইজরায়েলি মানুষ ভিড় করে খবর দেখছেন। পণবন্দিদের মুক্তির খবরে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক পণবন্দির জন্য নিজেদের হাতে লেখা চিঠি দেবেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর স্ত্রী সারা। তাতে লেখা, 'ইজরায়েলের প্রত্যেক মানুষের তরফ থেকে আমরা তোমাদের স্বাগত জানাই। বহুদিন ধরে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করেছি।' এছাড়াও প্রত্যেক পণবন্দিকে উপহার হিসাবে জামাকাপড়, ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাবলেট দেওয়া হবে। তাঁদের বাড়ি ফেরার পথে ইজরায়েলের জাতীয় পতাকাও লাগানো হয়েছে।
