সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পর অবশেষে শান্তি ফিরেছে গাজায়। আমেরিকা, তুরস্ক, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ঘোষিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি। বোমা-গুলির শব্দ বন্ধ হলেও দু'বছরে কার্যত নরক হয়েছে গাজা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে সেখানকার ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি। চাপা পড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে মৃতদেহ। পেটের জ্বালা মেটাতে অন্যের অনুগ্রহই ভরসা গাজাবাসীর। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে সেখানে মানবিক সাহায্য পাঠানোর পাশাপাশি গাজা পুনর্গঠনে অংশ নেবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে গঠিত হতে পারে এই সংক্রান্ত কমিটি।
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিপুল সংখ্যায় মানুষজন ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে সেখানে। তবে গাজায় ফিরলেও সেখানে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নেই। রয়েছে খাবারের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে গাজাবাসীকে খাবার, ওষুধ, থাকার জন্য তাঁবু, কম্বল-সহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাবে ভারত সরকার। মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজা পরিষ্কারের কাজও শুরু করবে নয়াদিল্লি। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা নতুন করে তৈরিতে সাহায্য করবে ভারত। জানা যাচ্ছে, গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে গাজায় ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এসব সরানো সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক দশক সময় লেগে যেতে পারে। আমেরিকার অনুমান, গাজাকে পুনর্নির্মাণ করতে খরচ পড়তে পারে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডাকে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। সেখানে তিনি জানান, ভারত প্যালেস্তাইনের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী। সেইমতো নয়াদিল্লির সূত্রে জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে প্যালেস্টাইন পুনর্গঠন কমিটি গঠন করা হতে পারে। সেই কমিটি ভারতের তরফে সেখানে ত্রাণ ও পুনর্গঠন এর কাজ পর্যালোচনা করবে। প্রসঙ্গত, গাজা শান্তিচুক্তির প্রথম দফার শর্ত মেনে দুই পক্ষই পণবন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০ জন পণবন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস।
