shono
Advertisement

ইরানে একমাসে ৪৫ মৃত্যুদণ্ড, একজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি! দমননীতির প্রতিবাদে সরব আমজনতা

শনিবার ইরানে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এক অপরাধীকে।
Posted: 04:41 PM Jul 25, 2022Updated: 04:53 PM Jul 25, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসমক্ষে এক অপরাধীকে ফাঁসি দিয়েছে ইরানের (Iran) প্রশাসন। সেই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। সেই সঙ্গে হাড়হিম করা তথ্য প্রকাশ করেছে একটি মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক মাসে কমপক্ষে ৪৫ জনকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছে ইরান প্রশাসন। এমনকী একদিনে দশ জনকে ফাঁসি (Iran Public Execution) দেওয়া হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থাটি। রাষ্ট্রসংঘও এই পরিসংখ্যান জানতে পেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

Advertisement

গত শনিবার ইমান সাবজিকার নামে এক অভিযুক্তকে জনসমক্ষে ফাঁসি দিয়েছে ইরান প্রশাসন। এক পুলিশ অফিসারকে খুনে দোষী সাব্যস্ত ওই ব্যক্তিকে অপরাধস্থলেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। গোটা ঘটনাটির ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চোখে কালো পট্টি বাঁধা ওই অপরাধীর পরনে সে দেশের জেলবন্দিদের ফিকে নীল-কালো ডোরাকাটা পোশাক। যে জায়গায় খুন করেছিল ইমান, সেখানে দাঁড় করানো ট্রাকের উপর অস্থায়ী ফাঁসির মঞ্চে ওঠানো হয় তাকে। এর পর একটি ক্রেনের সঙ্গে আটকানো ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর প্রায় সাত মিটার পর্যন্ত উঁচুতে ঝুলতে থাকে ইমানের দেহ।

[আরও পড়ুন: গুগল প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! গুঞ্জনের মাঝে কী সাফাই দিলেন এলন মাস্ক?]

ঘটনার কথা জানতে পেরেই সরব হয় নরওয়ের মানবাধিকার সংগঠন ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ (Iran Human Rights)। তাদের তরফে বলা হয়,”আমজনতাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতেই এই নৃশংস মধ্যযুগীয় শাস্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মানুষের আরও প্রতিবাদ করা উচিত, বিশেষ করে জনসমক্ষে ফাঁসির মতো সাজার ক্ষেত্রে।” তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। সেই কারণেই সরকার চাইছে, দমনমূলক নীতি প্রয়োগ করে মানুষকে ভয় দেখাতে। 

ইরানের পরিস্থিতি দেখে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ। গত ১৬ জুলাই একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে বলা হয়েছিল, ইরানে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে জেলের মধ্যে অবহেলার ফলে কয়েদিদের মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গুতেরেস বলেছেন, ২০২০ সালে ইরানে ২৬০ জন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১০। চলতি বছরে ইরানে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা আরও বাড়বে, এমনটাই আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রসংঘ।

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ৯০ ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছিল ঘাড়, পাকিস্তানের নাবালিকাকে সুস্থ করলেন দিল্লির ডাক্তার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement