সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই জনসংখ্যা কমছে চিনের। ২০২২ ও ২০২৩ সালের পর ২০২৪ সালেও দেখা গেল জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। যদিও জন্মহার বেড়েছে। তবুও জনসংখ্যা কমেই চলেছে। যা চিনা অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ৭৯ লক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার কমে গিয়েছে। যদিও ৯৫ লক্ষ ৪০ হাজার শিশু জন্মেছে ২০২৪ সালে। যেখানে গত বছরে তা ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার। তবে এই সংখ্যাবৃদ্ধির আসলে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ২০২৪ সাল ছিল ড্রাগনের। চিনা রাশিফল অনুযায়ী, ওই বছরে সন্তান জন্মালে তা মঙ্গলজনক। আর সেই কারণেই চিনা দম্পতিরা আগে থেকেই 'হিসেব' কষে এই বছরেই সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করতে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ২০২৫ সালে জন্মহার ফের হ্রাস পেতে পারে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এবার জন্মহার বাড়লেও তা ১৯৪৯ সাল থেকে ধরলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হার।
এক জনসংখ্যাবিদ বলছেন, ''বহু দম্পতি কোভিডের কারণে তিনটি বছর দেরি করার ফলে ২০২৪ সালেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। এটাই হয়তো প্রধান কারণ। আমার আশঙ্কা, ২০২৫ সালে ফের জন্মহার কমবে।''
প্রসঙ্গত, চিন থেকে কার্যত হারিয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাঁর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে। তাই নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। কেবলমাত্র যুগল নয়, সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সঙ্গীহীনদেরও। প্রশাসনের কাছে রেজিস্টার করে সন্তান দত্তক নিতে পারেন তাঁরা। তবুও জনসংখ্যা বাড়ছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ।