shono
Advertisement

‌ভারত–বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশাল বাঁধ বানাতে চলেছে চিন

বেজিংয়ের সিদ্ধান্তে তীব্র জলসংকটে পড়তে পারে দুই দেশই।
Posted: 10:06 AM Nov 30, 2020Updated: 10:06 AM Nov 30, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে ফের একবার ব্রহ্মপুত্র নদের (Brahmaputra River) উপর বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নিল চিন (China)। তিব্বতে (Tibet) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপরে বিশাল নদী বাঁধ তৈরি করা হবে। ২০২১–২৫ সাল পর্যন্ত ১৪ তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে এই বাঁধটি তৈরি করা হবে। রবিবার এই খবর প্রকাশিত হয়েছে চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে। তবে এই বাঁধ নির্মাণ হলে ভারতে (India) প্রবল জলাভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী ক্ষতি হবে আরেক পড়শি দেশ বাংলাদেশেরও (Bangladesh)। কিন্তু দু’‌দেশের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই ঘোষণা চিনের।

Advertisement

চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তা। জানা গিয়েছে, এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করেছে বেজিং।

[আরও পড়ুন: নয়া নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তাল ফ্রান্স]

এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের উপরে একাধিক ছোট–বড় বাঁধ নির্মাণ করেছে বেজিং। কিন্তু নয়া এই বাঁধ সেগুলোর তুলনায় অনেকটাই বড় হতে চলেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, নতুন এই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই। গত সপ্তাহে এক সম্মেলনে চিনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়্যান ঝিয়াং জানিয়েছেন, ‘ইতিহাসে এমন প্রকল্পের উল্লেখ নেই। চিনের জলবিদ্যুৎ শিল্পে এ এক ঐতিহাসিক সময়। এটি নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও পরিবেশ সংরক্ষণ, জাতীয় নিরাপত্তা, জীবনযাপনের মানোন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’‌ গত ১৬ অক্টোবর প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। ইয়্যান আরও জানান, এই প্রকল্প বছরে ৬০০ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। যার মধ্যে ৩০০ কোটি কিলোওয়াট কার্বনমুক্ত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎও উৎপাদিত হবে।

[আরও পড়ুন: তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান, আত্মঘাতী হামলায় মৃত ২৬ নিরাপত্তারক্ষী]

প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। নয়া এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement