সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মসনদে পালাবদলের পর ক্ষমতায় এসেছেন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন (Joe Biden)। আর শাসনভার হাতে নিয়েই নিজের ‘চিন নীতি’ সাফ করে দিয়েছেন তিনি। সোমবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়েছে, অর্থনৈতিক মঞ্চে চিনের দাদাগিরি রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ২৬ জানুয়ারি ‘ব্যতিক্রমী সংবিধানের জন্মদিন’, শুভেচ্ছা বার্তা বরিস জনসনের]
এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, “বিগত কয়েক বছর থেকে চিন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিক থকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটি। আমরা বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক মঞ্চে চিনের ক্ষমতার অপব্যবহার রুখে দেব। এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বিডেন জানিয়ে দিয়েছেন, মিত্র দেশগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে বেজিংয়ের মোকাবিলা করা হবে। বর্তমানে চিনা পণ্যের উপর যে শুল্ক রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সেই পণ্যগুলির উপর বর্ধিত হারে শুল্ক চাপানো হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “চিন সরকার আমেরিকার শ্রমিকদের ক্ষতি করছে। প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের ধার ভোঁতা করে দিচ্ছে দেশটি।”
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন চিনের প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখাবেন বিডেন। কিন্তু সেই জল্পনা যে বৃথা, তা স্পষ্ট করে দিল ওয়াশিংটন। সম্প্রতি, তাইওয়ান নিয়েও চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। দিন তিনেক আগে তাইওয়ান সীমানার খুব কাছে ঢুকে পড়েছিল কয়েকটি চিনা ফাইটার জেট। রবিবার প্রায় এক ডজন ফাইটার জেট অতিক্রম করল তাইওয়ানের আকাশ সীমা। অবশ্য মূল ভূখণ্ডের আগে থেকেই ফিরে গিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলি। তারপরই আমেরিকা জানায়, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট সমুদ্রে যাতায়াতের স্বাধীনতা বজায় রাখতে দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশ করেছিল। অর্থাৎ আমেরিকার তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে প্রয়োজনে সামরিক সংঘাতে নামতে পিছপা হবে না তারা।