shono
Advertisement

‘পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় ভারত’, রাষ্ট্রসংঘে বার্তা নয়াদিল্লির

একাধিক যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে দেশটি।
Posted: 10:42 AM Jun 12, 2021Updated: 10:42 AM Jun 12, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের (India) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। একাধিক যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এবার ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতেও দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি জানিয়েছে যে পড়শি দেশের সঙ্গে ‘স্বাভাবিক সম্পর্ক’ চায় ভারত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিপাকে ‘হীরক রাজা’, ডোমিনিকায় খারিজ মেহুল চোকসির জামিনের আবেদন]

শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার চলাকালীন ভারত জানায় যে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক কাম্য। তবে শান্তি আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করার দায়িত্ব পাকিস্তানের (Pakistan)। এদিন আলোচনা চলাকালীন যথারীতি আন্তর্জাতিক মঞ্চটিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ইসলামাবাদ। এর প্রতিবাদে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয় যে দুই দেশের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে তা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই বিষয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা সভায় রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের দূত আর মধুসূদন বলেন, “এটা খুবই পরিতাপের বিষয় যে মিথ্যা নাটক রচনা করে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চের মান ক্ষুণ্ণ করছে পাকিস্তান। এহেন কাজে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিনিধিদের চোখে ধুলো দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সংসদ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু তার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে পড়শি দেশটিকে।”

উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে সক্রিয় হয়েছে নয়াদিল্লি। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরের দু’প্রান্তের পরিস্থিতি একসঙ্গে জটিল হলে সমস্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া বেজিং-ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠতাও কারও অজানা নয়। অন্যদিকে, তীব্র আর্থিক সমস্যায় থাকা পাকিস্তানের পক্ষেও দীর্ঘদিন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে রাখা কঠিন। ভূ-কৌশলগত অবস্থান পাকিস্তানের ভাল হলেও, ভূ-অর্থনীতির ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই পিছিয়ে। আইএমএফ-এর চাপও পাকিস্তানের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। সূত্রের মতে, বাধ্যবাধকতার কারণেই এবার উভয় দেশ উত্তেজনা প্রশমনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রথম বিদেশ সফরেই বিভ্রাট, পোকার আক্রমণে জেরবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement