সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত মার্কিন যৌন অপরাধী ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। এতদিন এপস্টেইন ফাইল প্রকাশ্যে আনা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। কিন্তু এবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই 'ইউ টার্ন' নিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, তাঁর কিছুই লুকনোর নেই।
তাঁর সোশাল মিডিয়া 'ট্রুথ'-এ তিনি লিখেছেন, 'হাউস তদারকি কমিটি আইনত যা যা পাওয়ার অধিকার রাখে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না! আমি শুধু এটাই চাই যেন রিপাবলিকানরা আবারও সঠিক অবস্থানে ফিরে আসুক।' তবে সেই সঙ্গেই তাঁর খোঁচা, ট্রাম্প এপস্টাইন ফাইল প্রকাশকে 'গণতান্ত্রিক বিভ্রান্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে অর্থনীতি, কর ছাড়, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সামরিক পুনর্গঠনের বিষয়টিতে ফোকাস করা দরকার। এমাসেই নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে হারতে হয়েছে রিপাবলিকানদের। এই পরিস্থিতিতেই এমন মন্তব্য ট্রাম্পের।
বহু নাবালিকার যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ছিলেন এপস্টেইন। শেষে জেলের কুঠুরিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলেই দাবি। প্রায় ছ’বছর আগে প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন ফের উঠে এসেছেন আলোচনায়। কেননা এবার তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প এপস্টেইনকে তাঁর পঞ্চাশতম জন্মদিনে একটি চিঠি পাঠান।
তাতে নাকি একটি নগ্ন নারীর ছবি আঁকা ছিল। আর এতেই ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। তিনি ওই সংবাদমাধ্যমের মালিক সংস্থা ডো জোন্স ও তার মালিক রুপার্ট মারডকের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মামলা করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, ওই চিঠি সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’। কী দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পও। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাতে একটি নগ্ন নারীর ছবি আঁকা ছিল। তখনও এপস্টেইন যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হননি। এই চিঠি ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন ট্রাম্প। এদিকে এরই মধ্যে হাউসে এপস্টেইন ফাইলস সংক্রান্ত বিল পেশ করার কথা। তার ফলে ফাইলের সবই প্রকাশ্যে আসার কথা।
