shono
Advertisement
Donald Trump v

আমেরিকায় 'নভেম্বর বিপ্লবে'ই গাজায় শান্তি! ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে দাবি ট্রাম্পের

বুধবারই হামাস-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।
Published By: Kishore GhoshPosted: 04:24 PM Jan 16, 2025Updated: 04:43 PM Jan 16, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১৫ মাস পর বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। দেড় বছর ধরে চলা ধ্বংসযজ্ঞে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৬ হাজার মানুষ। ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ। এই অবস্থায় বন্দিমুক্তির বিনিময়ে গাজায় শান্তিচুক্তির কৃতিত্ব দাবি করলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে গত নভেম্বরে আমেরিকায় তাঁর নেতৃত্বে রিপাবলিকানরা ফিরে আসাতে।

Advertisement

বুধবার ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি পরেই তাঁর ট্রুথ সোশাল নেটিওয়ার্ক থেকে জাতির উদ্দেশে বার্তা দেন ট্রাম্প। বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে বন্দিদের জন্য আমাদের চুক্তি রয়েছে। শিগগিরই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। ধন্যবাদ!" তখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেননি বাইডেন। পরে আরও একটি সোশাল পোস্টে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। বলেন, "নভেম্বর মাসের (মার্কিন নির্বাচনে) ঐতিহাসিক জয়ের ফলেই মহাকাব্যিক যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়িত হল।" এখানেই না থেমে ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন শন্তি ও আলোচনায় মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বার্তা দিতে চায়।

জানা গিয়েছে, প্রথম পর্বের বিয়াল্লিশ দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাসের ডেরায় বন্দি ১০০ জন বন্দির মধ্যে ৩৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই শান্তিচুক্তিতে বড় ভূমিকা নেন ট্রাম্পের কাছের লোক মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ। তবে এক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের আধিকারিকেরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন বলে খবর। সোশাল মিডিয়ার বার্তায়, উইটকফকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। পাশাপাশি বার্তা দেন, গাজা যাতে করে ভবিষ্যতে আর জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য না হয়ে ওঠে, সেই বিষয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে কাজ করবে আমেরিকাও। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের ডাকাবুকো চরিত্র হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। মাঝে হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে মধ্যপ্রাচ্যকে নরক বানিয়ে দেব। সেই যুদ্ধের ভয়েই যুদ্ধ থামল এযাত্রায়! 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের শুরু। যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করে কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো দেশ। গাজা যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও যুদ্ধবিরতির বৈঠকে নিয়মিত যোগ দেয় আমেরিকা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিশরের কায়রোতেও আলোচনাতেও বসে হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থকও হয়। তখনই শোনা গিয়েছিল সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই যুদ্ধে ছেদ পড়তে পারে। স্বাক্ষরিত হতে পারে পণবন্দিদের মুক্তির চুক্তি। শেষ পর্যন্ত তেমনটাই ঘটল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বুধবার ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি পরেই তাঁর ট্রুথ সোশাল নেটিওয়ার্ক থেকে জাতির উদ্দেশে বার্তা দেন ট্রাম্প।
  • ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এই সংঘাতের শুরু।
  • দেড় বছর ধরে চলা ধ্বংসযজ্ঞে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৬ হাজার মানুষ।
Advertisement