সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি সোজা পথে যুদ্ধ থামান তাহলে ভালোই। কিন্তু সেটা না হলে নিষেধাজ্ঞা চাপানো, অতিরিক্ত কর চাপানোর মতো কঠিন পথে হাঁটতে হবে আমেরিকাকে।
বুধবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথমেই সাফ জানিয়ে দেন, রাশিয়ার ক্ষতি করা মোটেই তাঁর উদ্দেশ্য নয়। রাশিয়ার মানুষ, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে তিনি খুবই পছন্দ করেন-তারা বামপন্থী হওয়া সত্ত্বেও। সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, "ভুলে গেলে চলবে না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিততে রাশিয়া আমাদের সাহায্য করেছিল। অন্তত ৬ কোটি রুশ সেনার মৃত্যুও হয়েছিল তাতে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সাহায্য করতে চাই। রুশ অর্থনীতি ধসে পড়েছে। তাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হোক। কারণ আগামী দিনে যুদ্ধের পরিণতি আরও খারাপ হবে।"
কিন্তু ট্রাম্পের 'সোজা পথে'র দাওয়াই মেনে পুতিন যদি যুদ্ধ থামাতে রাজি না হন, তাহলে কঠিন রাস্তায় হাঁটবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "যদি যুদ্ধবিরতি না হয় তাহলে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অতিরিক্ত কর চাপানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না আমার কাছে। আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশে রুশ পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। বসানো হবে বিরাট হারের শুল্কও।" ট্রাম্প মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হত না। তাই সোজা পথে হোক বা কঠিনভাবে, এই যুদ্ধ থামাতেই হবে। প্রাণহানি চান না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই তিন বছর পূর্ণ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সবকিছুই অব্যাহত। এখনও মেলেনি সংঘাত থামানোর রফাসূত্র। এই লড়াইয়ের শুরু থেকে কিয়েভের পাশে রয়েছে হোয়াইট হাউস। এর মাঝে নির্বাচনের আগে গতবছর ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।” শপথ নেওয়ার আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এবার কি তাহলে থামবে পূর্ব ইউরোপের দুই প্রতিবেশীর রক্তক্ষয়ী সংঘাত?