সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কের নাম H1B ভিসা। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগে থেকেই যা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। ট্রাম্প ২.০-তে এইচ১বি ভিসা নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয় তা নিয়েই চর্চা অব্যাহত ছিল সোমবার বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার মসনদে প্রত্যাবর্তনের সময়ও। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প। পরিষ্কার জানালেন, তিনি এই বিতর্কের দুই ধরনের মতামতই মন দিয়ে শুনেছেন। এবং মার্কিন মুলুকে দক্ষ মানুষদের স্বাগত জানাচ্ছেন।
বেআইনি অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানোর শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে এইচ১বি ভিসার ক্ষেত্রেই বা তাঁর পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে তর্ক চলছেই। এবার তাঁকে বলতে শোনা গেল, ''বিতর্কের উভয় দিকই আমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু দক্ষ মানুষেরা আমাদের দেশে আসুন, সেটাও আমি পছন্দ করি।'' মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ''আমরা চাই যোগ্য মানুষেরা আমাদের দেশে আসুক। এবং এইচ১বি সম্পর্কে আমি খুব ভালো জানি। মদ বিশেষজ্ঞ, ওয়েটার... উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ওয়েটারদের ক্ষেত্রেও আমি সেরা লোকেদের চাই।''
গত ডিসেম্বরে শোনা গিয়েছিল, H1B ভিসা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে ধনকুবের এলন মাস্কদের। মাস্ক নিজেও এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় অভিবাসন গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘যদি আপনি চান আপনার টিম চ্যাম্পিয়ন হোক, তাহলে সেরা প্রতিভাদের নিয়োগ করতেই হবে।’’ একই মত ছিল বিবেক রামস্বামীরও। তাঁর মতে মার্কিন সংস্কৃতি বরাবরই মাঝারি প্রতিভারই বেশি কদর করে এসেছে। মনে করা হচ্ছিল, ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে থাকবেন।
কিন্তু পরে মার্কিন মসনদে বসতে চলা রিপাবলিকান নেতা বলেন, ”আমার বহু সম্পত্তিতেই H1B ভিসা রয়েছে। আমি এটায় বিশ্বাস করি। বহুবার ব্যবহারও হয়েছে এটা। সত্যিই একটা দারুণ প্রকল্প।” এদিনও সেই সুর বজায় রেখে সদ্য শপথ নেওয়া ট্রাম্প বলেছেন, ''আমরা চাই যোগ্য মানুষেরা আসুন। যার ফলে আমাদের বাণিজ্য বিস্তৃত হবে। এবং সকলের খেয়াল রাখাই সম্ভব হবে। আর তাই আমি এই বিতর্কের দুই দিকেরই পক্ষে। কিন্তু আমি সত্যিই চাই সত্যিকারের যোগ্য মানুষেরা আমাদের দেশে আসুন। আর সেটা আমরা এইচ১বি কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই সম্ভব করব।''