shono
Advertisement

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ফরাসি রাজনীতিতে অচলাবস্থার আশঙ্কা

নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে বাম দলীয় জোট এবং দক্ষিণপন্থী দল।
Posted: 01:45 PM Jun 20, 2022Updated: 01:55 PM Jun 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফরাসি রাজনীতিতে অপ্রত্যাশিত মোড়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এর ফলে ফরাসি রাজনীতিতে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জাতীয় আইনসভার রাশ হাতে না থাকলে এক একটি বিল পাশ করতে ম্যাক্রোঁকে প্রবল বেগ পেতে হবে।

Advertisement

সোমবার জাতীয় আইনসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোটকে ২৮৯টি আসন পেতে হত। কিন্তু জাতীয় আইনসভার ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ম্যাক্রোঁর জোট পেয়েছে ২৪৫টি আসন। রবিবার জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে ক্ষমতাসীন জোটের এই বিপর্যয়ে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ম্যাক্রোঁ অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট গঠনে সক্ষম হলে এ পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: পয়গম্বরের অপমানের বদলা নিতেই কাবুলের গুরুদ্বারে হামলা! দায় স্বীকার আইসিসের]

বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত ভাল ফলাফলে পার্লামেন্টে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে বাম দলীয় জোট এবং দক্ষিণপন্থী দল। নির্বাচনের আগে ম্যাক্রোঁ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে তাঁর মধ্যপন্থী জোট ‘এনসেম্বল’ বহু আসন হারিয়েছে। কট্টর বামপন্থী নেতা জ্যঁ-লুক মিলশ্যঁ কমিউনিস্ট ও পরিবেশপন্থী গ্রিন্স-সহ মূলধারার বামপন্থী দলগুলোর জোট ‘নিউফ’ বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে। জাতীয় পরিষদের ১৩১টি আসনে জয় পেয়ে নিউফ প্রধান বিরোধীদল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই জোটের বাইরে থাকা অন্যান্য বাম দল আরও ২২টি আসন জিতেছে। ফলে বৃহত্তর বাম জোটের মোট আসন দাঁড়িয়েছে ১৫৩টি আর তাতে তারাই জাতীয় পরিষদে বৃহত্তম বিরোধীদলীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে দক্ষিণপন্থী মেরিন লি পেঁ-কে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-র জয় আপাতত ফ্রান্স-সহ ইউরোপের জন্যই উদারনৈতিক সমাজ, বহুত্ববাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার জয় নিশ্চিত করেছে। তবে এই যে ভোটারদের মধ্যে এত বড় একটি অংশ অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকে সমর্থন করছে, সেটাও ইউরোপের গণতন্ত্র এবং সমাজব্যবস্থার জন্য গভীর উদ্বেগের। এদিন জাতীয় আইনসভার নির্বাচনে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণিত করল।

[আরও পড়ুন: এবার ইউক্রেনে আসতে হলে ভিসা লাগবে রুশ নাগরিকদের, ঘোষণা জেলেনস্কির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement