সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে গাজার শান্তি সম্মেলনে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত প্রশস্তি গাইতে থাকেন। যা অবাক করে দেয় খোদ ট্রাম্পকেও। তিনি কার্যতই খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি খুশি হলেও নেটিজেনরা বিরক্ত এক রাষ্ট্রপ্রধানকে এভাবে অন্যের সামনে নতজানু হতে দেখে। এমনকী পাকিস্তানের নাগরিকরাও বিরক্ত। দাবি, জুতো চাটায় রীতিমতো দক্ষতা দেখাচ্ছেন শাহবাজ। তাঁকে এজন্য নোবেল দিয়ে দেওয়া উচিত।
গাজার শান্তি সম্মেলনে শাহবাজকে বলতে শোনা যায়, “ট্রাম্প শুধু দক্ষিণ এশিয়াকে শুধু বাঁচাননি, কোটি কোটি মানুষকে বাঁচিয়েছেন। গাজা, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে বাঁচিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আপনাকে স্যালুট জানাই, এই অভাবনীয় নেতৃত্বের জন্য।” তাঁকে 'শান্তির মানুষ' বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ''উনিই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সবচেয়ে প্রকৃত এবং সবচেয়ে চমৎকার প্রার্থী।''
ট্রাম্প শেষপর্যন্ত নোবেল পাননি। কিন্তু শাহবাজের প্রশস্তিতে নেটিজেনরা বলছেন, বরং পাক প্রধানমন্ত্রীকেই তোষামোদির জন্য এই পুরস্কার দেওয়া দরকার। তিনি এমন সব কথা বলছেন দেখে ট্রাম্প হাসতে হাসতে বলেন, ''ওরেব্বাস! আমি এতটা প্রত্যাশা করিনি। তাহলে এবার বাড়ি ফেরা যাক- আর কীই বা বলতে পারি।''
পাক ইতিহাসবিদ আম্মার আলি জান বলছেন, ''ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যেভাবে ক্রমাগত অপ্রয়োজনীয় তৈলমর্দন করে চলেছেন শাহবাজ শরিফ, তা সমস্ত পাকিস্তানিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।'' এক নেটিজেন লিখছেন, 'পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরা কেন এমন জুতোচাটা হন? নির্লজ্জ মানুষ শাহবাজ শরিফ! প্যালেস্তিনীয়দের সংগ্রামকে ব্যবহার করে কিছু পয়েন্ট অর্জন করছেন।' বিখ্যাত কলাম লেখক এসএল কন্থন লিখেছেন, 'যখন ট্রাম্প দেখেন তাঁর বুটে ময়লা জমেছে তিনি শাহবাজকে ডেকে পাঠান।'
তবে এত সমালোচনার মধ্যেও উঠে আসছে অন্য প্রসঙ্গ। বরাবরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের 'সুসম্পর্ক' ছিল। তাঁরা কার্যত প্রশস্তিই গেয়েছেন এতকাল। সেক্ষেত্রে পাক বিদেশনীতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সরিয়ে রেখে একা শাহবাজকে কাঠগড়ায় তুললে অন্যায় হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
