সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনাহারে মরতে বসা গাজার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বিখ্যাত পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। এর আগেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। আবারও গাজায় প্রবেশ করতে চাওয়ায় আটক করা হল তাঁকে। সেই সঙ্গেই তাঁর চুল ধরে টেনে, বলপূর্বক গায়ে ইজরায়েলের পতাকা জড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও করলেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী।
শনিবার ১৩৭ জন সমাজকর্মীর একটি দল ইস্তানবুলে পৌঁছায়। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে বলা হয়েছে, ওই দলে তুরস্কের ৩৬ জন নাগরিক ছিলেন। বাকিরা আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মরক্কো, আলজিরিয়া, ইটালি, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডন ইত্যাদি দেশ থেকে এসেছিলেন। আর সেই দলেই ছিলেন গ্রেটা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এক সমাজকর্মী জানিয়েছেন, ''পুরো বিষয়টাই ছিল একটা বিপর্যয়। আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে। গ্রেটা থুনবার্গকে চুল ধরে টানা হয়। তাঁকে ইজরায়েলের পতাকা পরানো হয় জোর করে।'' আরেকজন বলছেন, ''আমাদের হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করা হয়। নড়লেই আমাদের মারা হচ্ছিল। ওরা হাসছিল, অপমান করছিল। মানসিক ও শারীরিক দু'ভাবেই হেনস্তা করা হয়।''
গত জুনেও গাজায় ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন গ্রেটা। জানা যায় মাডলিন নামের এক নৌকা ইটালির ক্যাটালিনা থেকে জরুরি ত্রাণ নিয়ে গাজায় যাবে। কিন্তু গাজায় ঢোকার অনেক আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের নৌকা। সেখানে থাকা মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানা যায়। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের দাবি, যৎসামান্য ত্রাণ নিয়ে সেলফি তুলতে এসেছিল কয়েকজন তারকা। এবার ফের তাঁর হেনস্তার অভিযোগ করলেন গ্রেটা। এদিকে গতবার গ্রেটার হেনস্তার অভিযোগর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ”ও খুব অদ্ভুত মেয়ে। বদরাগী তরুণী। জানি না এই রাগ সত্যি রাগ কিনা- বিশ্বাস করা শক্ত আসলে… আমি দেখেছি কী হয়েছে। ও একেবারেই অদ্ভুত।” এবং তাঁর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
