সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় শান্তি ফেরাতে বদ্ধপরিকর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ফের প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলেন, “আর বিলম্ব বরদাস্ত করব না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। না হলে খেলা কিন্তু ঘুরে যেতে পারে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। ইজরায়েল ২০ দফা প্রস্তাবে সম্মতিও দেখিয়েছে। তাই সাময়িকভাবে তারা গাজায় গোলাবর্ষণ বন্ধ রেখেছে।
ট্রাম্প তাঁর সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘ইজরায়েল শান্তি চুক্তিতে রাজি হয়েছে। পণবন্দিদের মুক্তি জন্য হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে। এই বিলম্ব আমি আর মেনে নেব না। শান্তিপ্রক্রিয়া পিছিয়ে গেলে গাজায় ফের অশান্ত হয়ে উঠবে।' এদিকে গাজা নিয়ে ফের হুঙ্কার দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীও। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা থেকে এখনই ইজরায়েলি সেনাকে সরানো হবে না। পাশাপাশি, হামাসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, তাদের হাত থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হবেই। হয় কূটনৈতিক ভাবে, নয়তো সেনার পথেই।
উল্লেখ্য, শান্তিপ্রস্তাবের মাঝেই শনিবার ফের গাজায় মারণ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইজরায়েলের এই হামলার পর প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি শান্তি ফিরবে গাজায়? জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গাজা শহর এবং গাজার দক্ষিণাংশের খান ইউনিস এলাকায় গোলাবর্ষণ করে ইহুদি সেনা। এর মধ্যে গাজা শহরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অন্যদিকে, খান ইউনিস এলাকায় মৃত্যু হয় ২ জন সাধারণ নাগরিকের।
প্রসঙ্গত, গাজার যুদ্ধ থামানো নিয়ে কয়েকদিন আগেই ট্রাম্পের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারপরেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি থেকে শুরু করে গাজায় নতুন সরকার গঠন-একাধিক প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজাকে পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করে একেবারে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। যদি ইজরায়েল এবং হামাস দু’পক্ষই এই প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত পণবন্দিদের ফেরাতে হবে। ইজরায়েলও সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে। তারপরই গাজার জন্য বিপুল ত্রাণ পাঠানো হবে, রাষ্ট্রসংঘ এবং রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে। এই প্রস্তাবে অবশেষে সম্মত হয়েছে হামাস। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
