shono
Advertisement

তিয়েনআনমেন দিবসে প্রতিবাদী স্বরকে হত্যা! হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী নেত্রীকে গ্রেপ্তার করল চিন

Tiananmen দিবসে হংকংয়ে যাতে চিনবিরোধী কোনও জমায়েত না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।
Posted: 10:45 AM Jun 04, 2021Updated: 03:42 PM Jun 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের নির্লজ্জ নজির দেখা গেল হংকংয়ে (Hong Kong)! ৪ জুন তিয়েনআনমেন দিবস। চিনের দমননীতির প্রতিবাদে ও নিহত গণতন্ত্রকামীদের স্মরণে আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে মোমবাতি জ্বালাতে চেয়েছিলেন চাউ হাং তুং। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে গ্রেপ্তার করল হংকং পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বছরও এই দিনটিতে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে চিনের ‘দমননীতি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।

Advertisement

হংকংয়ের গণতন্ত্রের দাবিতে সরব এক গোষ্ঠীর সদস্য চাউ হাং তুং। প্রতিবারই এই দিনে তাঁরা বিরাট জমায়েতের আয়োজন করেন। এবার সেই জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এরই মাঝে শুক্রবার সকালে শহরে ভিক্টোরিয়া পার্কে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, ‘শহিদ’দের প্রতি সম্মান জানিয়ে মোমবাতি জ্বালাবেন। সেই পথে রওনা হতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।হংকংয়ের বাসিন্দারা যাতে তিয়েন আনমেন দিবস পালন করতে না পারেন সে দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা ও পুলিশ। তাঁদের এই আচরণকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ শাসনের উদাহরণ বলে দাবি করেছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীরা। উল্লেখ্য, চিনের মূল ভূখণ্ডে তিয়েনআনমেন দিবস (Tiananmen Anniversary) উদযাপন নিষিদ্ধ। হংকংয়ে যাতে চিনবিরোধী কোনও জমায়েত না হয়, তার দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন কমলা হ্যারিসের, টিকা বণ্টন নিয়ে আলোচনা]

গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে চাউ হাং তুংয়ের সহযোদ্ধারা জানিয়েছেন, “ও (চাউ হাং তুং) শুধুমাত্র ভিক্টোরিয়া পার্কে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে গিয়ে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করতে চেয়েছিলেন।” যদিও হংকং প্রশাসনের দাবি, চাউ হাং অবৈধ জমায়েত করার চেষ্টা করছিলেন। বেআইনি কাজের জন্য ওই গণতন্ত্রকামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হংকংয়ের বহু গণতন্ত্রকামীই আপাতত জেলবন্দী। এমনকী আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলির অফিসের বাইরে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে।

কী এই তিয়েনআনমেন দিবস? ১৯৮৯ সালের ৪ জুন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে জড়ো হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। চিনের সরকারি হিসেব বলেছে, সেদিন ৩০০ জনের প্রাণ গিয়েছিল। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যাটা হাজারেরও বেশি। গ্রেপ্তার হয় আরও কয়েক শো আন্দোলনকারী। এখনও সেই দিনটি পালন করতে দিতে অনিচ্ছুক চিনের শাসকদল। তাই গণতন্ত্রকে ‘হত্যা’ করতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা চোকসির, জামিনের আরজি খারিজ করল ডোমিনিকার আদালত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement