সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ফের সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে অর্থের জোগান আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল বা আইএমএফ-এর। নয়া কিস্তিতে পাকিস্তানকে দেওয়া হচ্ছে ১.২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা ১০ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের দাবি, পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতীতের মতো এই অর্থের বড় অংশ সন্ত্রাসবাদকে মদত জোগাতে ব্যবহার করবে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার।
আইএমএফের তরফে সোমবার বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, নয়া কিস্তিতে পাকিস্তানকে আরও ১.২ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। এই অর্থ দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান। নিজ দেশের অর্থনৈতিক সংশোধন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে ব্যয় করা যাবে এই টাকা। এই নিয়ে পাকিস্তানকে তৃতীয় কিস্তির টাকা দিতে চলেছে এই আন্তর্জাতিক সংগঠন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের শীর্ষ আধিকারিক নাইজেল ক্লার্ক এই বিষয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও পাকিস্তান তার অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা সাফল্যের সঙ্গে জারি রেখেছে। যার জেরেই তৃতীয় কিস্তির অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে পাকিস্তানকে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনীতির কোমর ভেঙেছে বহু আগেই। গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে শাহবাজের দেশ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ফের আইএমএফের কাছে যায় ইসলামাবাদ। তবে সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানকে যাতে এই ঋণ না দেওয়া হয় তার জন্য স্পষ্ট যুক্তি দেওয়া হয় ভারতের তরফে। অভিযোগ করা হয়, অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি।
সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত জানিয়েছিল, এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে ফলে এই ঋণ কোনওভাবেই দেওয়া উচিত নয়। ঋণ গ্রহণের পর যে সকল শর্ত মেনে চলা উচিত অতীতেও সে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ফলে এই অর্থ অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত আপত্তি জানালেও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। যার জেরেই এই ঋণ মঞ্জুর হয় পাকিস্তানের। এবার সেই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে চলেছে পাকিস্তান।
