সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাল টাকার জমি দুর্নীতিতে নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হলেন ইমরান খান। শুক্রবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সাজা হিসাবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে তাঁকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইতিমধ্যেই জেলবন্দি রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ইমরানের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে ন্যাব। অভিযোগ আনা হয়, আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নাম করে ১৯০ পাউন্ডের দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। শুক্রবার সেই মামলাতেই সস্ত্রীক ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের আদালত। ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান। প্রথমে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক জেলে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে। একাধিকবার কারাগারে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছেন ইমরানের পরিবার ও সমর্থকরা। এদিকে ইমরান অভিযোগ করেছিলেন, জেলে তাঁর সঙ্গে ‘জঙ্গি’দের মতো আচরণ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের যে সেলে রাখা হয় সেরকমই এক কুঠুরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। একই অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমাকেও। জেমাইমার আরও অভিযোগ, কেবল ইমরান নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও হেনস্তা করা হচ্ছে।
সবমিলিয়ে ২০০র বেশি মামলা ঝুলছে ইমরানের বিরুদ্ধে। যদিও তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতার দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাঁকে গারদের ওপারে আটকে রাখা হয়েছে। যদিও দিনকয়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। এদিন মামলার শুনানিতে আদালত চত্বরেও হাজির ছিলেন তিনি। তবে জমি দুর্নীতিতে ফের জেলেই ঠাঁই হবে তাঁর।