সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে কানাডা। রাজ্যসভায় এই কথা জানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। বৃহস্পতিবার সংসদে তিনি বলেন, ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় কনসুলেটের সমস্ত কর্মীকে কানাডা প্রশাসন জানিয়েছে যে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত কথোপকথনেও 'আড়ি পাতছে' জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
রাজ্যসভায় প্রশ্ন করা হয়, কানাডায় কর্মরত ভারতীয়রা কি কোনওভাবে নজরদারির আওতায় রয়েছেন? সেই প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানান, "কয়েকদিন আগে ভ্যাঙ্কুভারের ভারতীয় কনসুলেটের আধিকারিকদের কানাডা প্রশাসন জানায়, কূটনীতিকদের উপর নজরদারি হচ্ছে। আগেও ভারতীয় কূটনীতিকদের উপরে নজর রাখা হত। অডিও-ভিডিও দুরকমভাবেই ভারতীয় কূটনীতিকদের গতিবিধি চোখে চোখে রাখছে কানাডা প্রশাসন। এমনকি কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত কথোপকথনেও আড়ি পাতছে কানাডার প্রশাসন।"
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, কানাডা সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির কানাডা হাই কমিশনে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এইভাবে নজরদারি চালানোটা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে। কূটনীতিকদের উপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সাইবার ক্ষেত্রেও ভারতকে 'বিপজ্জনক' তকমা দিয়েছে কানাডার একটি রিপোর্ট। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কীর্তিবর্ধন বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে কানাডা।
উল্লেখ্য, ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপোড়েনের (India-Canada Row) সূত্রপাত ২০২৩ সালের জুন মাসে। কানাডায় এক গুরুদ্বারের বাইরে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন ট্রুডো। যদিও ভারত সে অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে। এই ইস্যুতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে বার বার অভিযোগ তোলা হলেও খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভারতীয় এজেন্টের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ দিল্লির হাতে তুলে দেয়নি কানাডা।