সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন অনিতা আনন্দ। সোশাল মিডিয়ায় জানালেন, কানাডার আসন্ন নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না তিনি। তবে ভোট হওয়া পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আচমকা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে উঠে এসেছিল অনিতার নাম।
ভারত-বিদ্বেষ এবং ‘খলিস্তান প্রেমের’ দায়ে দলের অন্দরে কোণঠাসা জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেছেন। এরপরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন, সেই নিয়ে চলছে চর্চা। সেই তালিকায় উপরের দিকেই ছিলেন বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ। কিন্তু সেই দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত পাঁচ বছরে কানাডার রাজনীতিতে প্রভাবশালী মুখ হয়ে উঠেছেন অনিতা আনন্দ। পরিবহণ দপ্তর সামলানো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তামিল বাবা, পাঞ্জাবি মায়ের সন্তান ৫৭ বছরের অনিতা অক্সফোর্ডের পড়ুয়া। ২০১৯ সালে ওকভিলে সাংসদ নির্বাচিত হতেই ট্রুডো মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ৬ বছর ধরে নানাভাবে কানাডার দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আর নয়। নির্বাচনী রাজনীতিতে ইতি টানতে চান অনিতা।
রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিদায়ী বার্তা প্রকাশ করেন ভারতীয় বংশোভূত সাংসদ। ক্যাবিনেটে তাঁকে স্থান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রুডো। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওকভিলের মানুষের প্রতি, যাঁরা সাংসদ হতে সাহায্য করেছেন। বিদায়ী বার্তায় অনিতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে নির্বাচিত করেছেন ওকভিলের জনতা। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে আইনের অধ্যাপক ছিলেন অনিতা। আগামী দিনেও তাঁকে সেখানে ফিরতে দেখা যাবে কিনা, জানা যায়নি।