সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীভৎস! পৃথিবীর অপরাধের ইতিহাসে একাধিক নৃশংস খুনের কথা রয়েছে। কখনও দেখা গিয়েছে স্ত্রীকে খুন করে ওভেনে পুড়িয়ে ফেলছে স্বামী। আবার কখনও মৃত্যুর পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে প্রিয়জনকে উপহার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এমন নৃশংসতা এর আগে বোধহয় দেখেননি কেউ।
চার বছরের শিশুকে খুন করে শরীর থেকে বের করে আনা হল হৃৎপিণ্ড। সেই হৃৎপিণ্ড আবার কেটে, ধুয়ে আলু দিয়ে রান্না করেছিল খুনি। বাকি দু’জনকে খুনের আগে সেই খাবারও খেতে দিয়েছিল সে। আমেরিকার এই নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে আসতেই শিউড়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। একা ওই নাবালিকাকে নয়, আরও দুজনকে কুপিয়েছে খুনি। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেছে।
[আরও পড়ুন : কূটনৈতিক জয় ভারতের, নীরব মোদির প্রত্যর্পণে সবুজ সংকেত ব্রিটিশ আদালতের]
অভিযুক্তের নাম লরেন্স পল অ্যান্ডারসন। অভিযোগ, ওকলাহামায় লরেন্সের পাশের বাড়িতেই থাকত তার কাকার পরিবার। সেই কাকার নাতনি অর্থাৎ খুড়তুতো ভাইয়ের মেয়েকে খুন করে লরেন্স। মেয়েটির বয়স মাত্র চার বছর। এতেই ক্ষান্ত হয়নি সে। ওই মেয়েটির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে কেটে-কেটে আলাদা করে। পরে মেয়েটির হৃৎপিণ্ডটিকে কাকার বাড়িতে নিয়ে আসে লরেন্স। সেই হৃৎপিণ্ডটি কেটে আলুর সঙ্গে ভেজে কাকা ও তাঁর বউমাকে খেতে দেয়। পরে তাদেরও আক্রমণ করে লরেন্স। কাকাকে খুনও করে। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁর বউমা।
পুলিশ ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তার কীর্তিকলাপ দেখে চমকে উঠেছে পুলিশও। তবে লরেন্সের এমন অপরাধ এই প্রথম নয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। ২০ বছর কারাগারের অন্ধকারে ছিল এই নৃশংস অপরাধী লরেন্স। তার বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচারের অভিযোগ ছিল।