সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইবার হানায় থমকে গিয়েছে আমেরিকার (America) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ‘কলোনিয়াল পাইপলাইন’-এর সমস্ত নেটওয়ার্ক। যার জেরে প্রভাবিত হয়েছে তৈল সরবরাহের কাজ। এহেন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সংঘাত উসকে এই হামলার উৎস রাশিয়া বলে জানতে পেরেছেন মার্কিন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের বিমান হানায় নিহত ২০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক, পালটা রকেট হামলা হামাসের]
তৈল সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোয় সাইবার হানার ফলে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। র্যানসামওয়্যার অ্যাটাকের পর পূর্ব আমেরিকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জ্বালানি সরবরাহ। ইতিমধ্যে ১৭টি রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াতে জারি করা হয়েছে রিজিওনাল এমারজেন্সিও। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, ‘ডার্কসাইড’ নামের একটি গ্রুপ এই সাইবার হামলার জন্য দায়ী। যদিও কেউ এই নিয়ে কোনও বিবৃতি এখনও জানায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হোয়াইট হাউস। সোমবার এই ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “এই হামলার উৎস রাশিয়া। তবে এর সঙ্গে রুশ প্রশাসনের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ এই মুহূর্তে নেই। তবে যেহেতু সাইবার অ্যাটাক তাদের জমি থেকে হয়েছে, তাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা মস্কোর দায়িত্ব।”
এদিকে, হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে ‘কলোনিয়াল পাইপলাইন’। সংস্থাটি জানিয়েছে, পাইপলাইনের কিছু অংশে ফের স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে প্রয়োজনীয় মোট জ্বালানির প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে কলোনিয়াল পাইপলাইন নামের সংস্থাটি। প্রতিদিন ২৫ লক্ষ ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল, জেট ফুয়েল এবং অন্যান্য শক্তিসম্পদ তারা সরবরাহ করে ৫,৫০০ মাইল লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে। অর্থাৎ দেশের জ্বালানির প্রায় ৪৫ শতাংশ সরবরাহ করে এই সংস্থাটিই। কিন্তু গত শুক্রবারই সাইবার হানার শিকার হয় সংস্থাটি। বন্ধ হয়ে যায় সার্ভার। একের পর এক কম্পিউটারে হানা দেয় হ্যাকাররা। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় জ্বালানি সরবরাহ। বিপাকে পড়ে বাইডেন প্রশাসন। তড়িঘড়ি তদন্তেও নামেন মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে তাদের আশঙ্কা, অর্থ আদায়ের উদ্দেশেই পরিকল্পনামাফিক শুক্রবার এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।