shono
Advertisement

নিশানায় করোনা ভ্যাকসিন, ফাইজারের তথ্যভাণ্ডারে হানা উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের!

বিস্ফোরক দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা 'ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস'।
Posted: 03:48 PM Feb 16, 2021Updated: 03:59 PM Feb 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা টিকা সংক্রান্ত তথ্য চুরি করতে মরিয়া উত্তর কোরিয়া। এর জন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের তথ্যভাণ্ডারে সাইবার হামলা চালায় কিমের দেশের হ্যাকাররা। মঙ্গলবার এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’ (National Intelligence Service)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে জয়জয়কার! ১৫টি দেশে রাজত্ব করছেন ২০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, বলছে সমীক্ষা]

২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই করোনা রুখতে সীমান্ত বন্ধ করে বাইরের জগতের সঙ্গে প্রায় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের দাবি, তাঁর দেশে এখনও থাবা বসাতে পারেনি মারণ ভাইরাসটি। কিন্তু বাস্তবে সামনে এসেছে অন্য চিত্র। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সিওলের দাবি, কিমের দেশে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার উপর মহামারীর প্রকোপে কার্যত ভেঙে পড়েছে কমিউনিস্ট দেশটির অর্থনীতি। চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে দেশটিতে। চাষের জন্য পর্যাপ্ত সার ও বীজের অভাবও চরমে। যদিও এসব উপেক্ষা করে লাগাতার সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়াতে বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করছেন কিম। এহেন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংসদ হা তায় কেয়ং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “করোনার টিকা তৈরি করতে মরিয়া উত্তর কোরিয়া। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে ফাইজারের তথ্যভাণ্ডারে হানা দিয়েছে সে দেশের হ্যাকাররা। এই বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা।”

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার কাছে রয়েছে কয়েক হাজার সদস্যের একটি সুশিক্ষিত হ্যাকার বাহিনী। সরাসরি কিমের নির্দেশে অস্ত্র তৈরি প্রযুক্তি ও ভ্যাকসিন-সহ অন্যান্য তথ্য হাতাতে গোটা বিশ্বেই সাইবার হামলা চালায় তারা। গত বছরের ডিসেম্বরে ন’টি সংস্থার পরিষেবা বিকল করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছিল হ্যাকাররা। এই তালিকায় ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ছ’টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, সংস্থাগুলির নাম। আমেরিকার জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে নোভাভ্যাক্স আইএনসি, ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো বিখ্যাত সব নাম হ্যাকারদের হিটলিস্টে ছিল। এছাড়াও ছিল বোস্টনের ইজরায়েল ডিকোনেস মেডিক্যাল সেন্টার এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেন। এমনকী বাদ যায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু সংস্থাও, যারা কোভিড-১৯ প্রতিরোধকারী ওষুধ প্রস্তুত এবং তার ট্রায়ালের কাজে ব্যস্ত। যেমন জেনেক্সিন আইএনসি, বোরইয়াং ফার্মা কো লিমিটেড, শিন পুং ফার্ম কো লিমিটেডে এবং সেলট্রিওন আইএনসি। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির চেষ্টা চালালেও হ্যাকারদের সেই চেষ্টা আদপে সফল হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই কাজ উত্তর কোরিয়ার কুখ্যাত হ্যাকার দল ‘কিমুস্কাই’-এর। কারণ, এর আগেও এরা আমেরিকা, জাপানের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জরুরি তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছিল।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে রাতারাতি নতুন আইন, বিক্ষোভ দেখালে হতে পারে ২০ বছরের জেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement