মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার আমজনতা, ২০ হাজার কোটি টাকার কর বসাতে চলেছে পাক সরকার!

02:14 PM Jan 30, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠছে পাকিস্তানের (Pakistan) সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই জনতার উপর বিপুল করের বোঝা চাপাতে চলেছে পাক প্রশাসন। প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পাক অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফের (IMF) থেকে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের তরফে বেশ কয়েকটি কঠিন শর্ত দেওয়া হয়। প্রথমে শর্ত মানতে নারাজ হলেও পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে তা মেনে নেয় পাকিস্তান। তার জেরেই মোট ২০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা চাপতে চলেছে পাক জনতার কাঁধে।

Advertisement

পাক সংবাদপত্র ডনের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দু’টি অর্ডিন্যান্সের খসড়া তৈরি করেছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন। মূলত ব্যবসার উপরেই ১০ হাজার কোটি টাকার কর বসানো হতে পারে। এছাড়াও বন্যা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ তহবিলেও কর বসানো হবে। সূত্রের খবর, কাঁচামাল রপ্তানির উপরে বড় মাপের কর ধার্য করবে নয়া অর্ডিন্যান্স। এছাড়াও বিদ্যুৎ খরচের ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে।

[আরও পড়ুন: ‘জাতীয় পতাকার আড়ালে ভারতকে লুটছেন আদানি’! ধনকুবেরের আক্রমণের পালটা হিন্ডেনবার্গের]

দীর্ঘ চারমাস ধরে এই ঋণের প্রস্তাব নিয়ে মতান্তর হয়েছে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে। কারণ ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় জেরবার জনতার উপরে কর বসালে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়বেন শাহবাজ শরিফ। তবে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রস্তাবে রাজি হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে। জানা গিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে আসবেন আইএমেফের প্রতিনিধিরা। ঋণের শর্তাবলি নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

Advertising
Advertising

গত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। ১৫ কেজির আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের মধ্যে আটার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। ডিজেলেও প্রতি লিটারে ৩৫ টাকা বেড়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে মুরগির খামারে হামলা করে ৫০ হাজার মুরগি চুরি হয়েছে। বেহাল অবস্থায় করের বোঝা কীভাবে সামাল দেবেন পাক আমজনতা, উঠছে প্রশ্ন।

[আরও পড়ুন: শিল্পে চাকরিমুখী শিক্ষায় নয়া মডেল ‘টিচিং ফ‌্যাক্টরি’, পথ দেখাচ্ছে সিঙ্গাপুর]

 

Advertisement
Next