সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমেরিকায় ফের চালু হল টিকটিক। প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন পদে বসে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। এবং অ্যাপটি চালু রাখার আবেদন জানানো হয় সব প্রযুক্তি সংস্থাকে। যার জেরেই রবিবার চালু হয়েছে জনপ্রিয় এই সোশাল মিডিয়া অ্যাপ। আমেরিকায় টিকটকের প্রত্যাবর্তনে ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানায় ওই চিনা সংস্থা।
টিকটক অ্যাপ কোনও মার্কিন সংস্থার হাতে না এলে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে তা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জো বাইডেন প্রশাসন। সেই মতো আইনও পাশ হয়। অ্যাপ বিক্রি করতে রবিবার পর্যন্ত চিনা সংস্থাকে সময় দেওয়া হয়। যদিও টিকটককে বাঁচাতে শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। যদিও চিনা সংস্থার বিপক্ষেই যায় শীর্ষ আদালতের রায়। এবং শনিবার থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। আমেরিকায় টিকটকের সার্ভারের দায়িত্বে রয়েছে ওব্যাকল। ১৮ জানুয়ারি তারা সার্ভার বন্ধ করে দেয়।
আমেরিকা টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ কোটি ছুঁইছুঁই। শনিবার সকাল থেকেই ব্যবহারকারীদের মোবাইলে অ্যাপটি কালো হয়ে যায়। সঙ্গে চিনা সংস্থাটি থেকে ইউজারদের একটি মেসেজও পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল, “দুর্ভাগ্যবশত আপনি এখন টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন না।” তবে এই নীতির পক্ষে ছিলেন না ট্রাম্প। তিনি জানান, শপথ গ্রহণের পর ৯০ দিন পর্যন্ত অ্যাপটি চালু রাখার সুযোগ দেবেন তিনি। তার মধ্যে টিকটকের বর্তমান মালিকানাধীন সংস্থা বাইটডান্সকে টিকটকের ৫০ শতাংশ মালিকানা তুলে দিতে হবে কোনও মার্কিন সংস্থার হাতে। তাহলেই কেটে যাবে আইনি বাধা। প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর সেই প্রক্রিয়া তিনি শুরু করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে আমেরিকায় টিকটক চালু হওয়ার পর ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংস্থার তরফে বলা হয়, আমেরিকায় ফের টিকটক চালু হল।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে আমেরিকায় টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাশ করেছে সে দেশের আদালত। বলা হয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই আইন পাশ করানো হয়। কিন্তু এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে আদালত। ফলে আমেরিকা জুড়ে TikTok নিষ্ক্রিয় হলেও, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ফের চালু হয়ে গেল।