সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সাল। তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সামনে নিজের অতিকায় কালো ল্যাব্রাডর কোনিকে ছেড়ে দিয়ে নাকি ভয় দেখিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনই আশ্চর্য অভিযোগে তাঁকে বিদ্ধ করেন মর্কেল। খোদ মর্কেল তাঁর নতুন প্রকাশিত স্মৃতিকথা 'ফ্রিডমে' এই বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুতিন এই অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে দাবি করেছেন, যা ঘটেছিল তা অনভিপ্রেত। তিনি মোটেও মর্কেলের সারমেয়-আতঙ্কের বিষয়টি জানতেন না।
যদিও মর্কেলের দাবি, পুতিন সেই সময় এই কাজটি করেছিলেন একেবারেই জেনে বুঝে। কেননা তার আগের বছরই অর্থাৎ ২০০৬ সালে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মর্কেল রুশ প্রেসিডেন্টের টিমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেন তাঁর সামনে কোনিকে আনা না হয়। সেবার তাঁর কথা শোনা হলেও একটি অতিকায় স্টাফ কুকুর পুতিন উপহার দেন মর্কেলকে। রসিকতা করে বলেন, ''ভয় নেই, কামড়াবে না।''
কিন্তু গোলমালটা হয় ২০০৭ সালে। সোচিতে দুজনের সাক্ষাতের সময় আচমকাই সেখানে হাজির হয় কোনি। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মর্কেল লিখছেন, 'আমি চেষ্টা করছিলাম কুকুরটাকে অবহেলা করতে। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম পুতিনের মুখের অভিব্যক্তি। উনি পরিস্থিতিটা উপভোগ করছিলেন। পুতিন কি চাইছিলেন একজন মানুষকে অস্বস্তিতে পড়তে দেখতে? এটা ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা ছোট্ট ভঙ্গি নয়? আমি কেবলই ভাবছিলাম। শান্ত হতে হবে। ফটোগ্রাফারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এটা মিটে যাবে।'
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন পুতিন। বৃহস্পতিবার ফের তিনি এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। যেহেতু নতুন করে মর্কেলের স্মৃতিকথায় ফিরে এসেছে সতেরো বছর আগের ঘটনা। রুশ প্রেসিডেন্ট বলছেন, ''আমি আগেই মর্কেলকে বলেছি, আমার জানা ছিল না ও কুকুরকে ভয় পায়। জানা থাকলে অবশ্যই এটা করতাম না। আমি আবারও ওঁর কাছে বলতে চাই, অ্যাঞ্জেলা, দয়া করে ক্ষমা করে দিন। আমি আপনাকে কোনও অসুবিধায় ফেলতে চাইনি।''