সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তারপরই ফোনে কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। তাঁদের কথোপকথন সম্পর্কে যা জানানো হয়েছে, তাতে অবশ্য ট্রাম্পের নাম নেই। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, হঠাৎই দুই রাষ্ট্রনেতার এই ফোনালাপের প্রেক্ষাপট অবশ্যই বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার শপথগ্রহণ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কো ও বেজিং অনেক বেশি কাছাকাছি এসেছে। এই সময়কালে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের অন্যতম ক্রেতা হিসেবে চিনের নাম করতেই হবে। অন্যদিকে পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার পর প্রযুক্তির দিক থেকে রাশিয়ার দিতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে জিনপিং প্রশাসন।
পুতিন ওই বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ফ্যাক্টরগুলি মাথায় না রেখে একসঙ্গে এগোতে চান তাঁরা। অন্যদিকে শি জিনপিংও মুখ খুলেছেন বৈঠক নিয়ে। জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্ব পরিকাঠামোয় আরও শক্তিবৃদ্ধি করা নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জিনপিং ট্রাম্পকে ফোন করে কথা বলেন। সেই সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন মার্কিন মুলুকের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে। অন্যদিকে পুতিন এখনও ট্রাম্পকে ফোন না করলেও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলে রাখা ভালো, ট্রাম্প আগের থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতায় এলেই চিনের উপরে শুল্কের হার বাড়াবেন। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে তিনি সদর্থক ভূমিকা নিতে চান। তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন পুতিন। এবার মসনদে বসে পড়ার পর ট্রাম্প কী কী পদক্ষেপ করেন সেদিকে তাই তাকিয়ে চিন-রাশিয়া দুই দেশই। তার মধ্যেই ফোনে কথা দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কের। এই কথোপকথন কি ট্রাম্পকে বার্তা? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।