shono
Advertisement
Rajnath Singh

'আর যেন গালওয়ান না হয়', চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে স্পষ্ট বার্তা রাজনাথের

সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর পর প্রথমবার বৈঠকে বসলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 09:00 PM Nov 20, 2024Updated: 01:14 PM Nov 21, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ানের মতো সংঘাত আর যেন না হয়। চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই কথাই বললেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। আসিয়ান কনক্লেভ চলাকালীন বৈঠকে বসেন দুই দেশের মন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত মাসেই সেনা সরানো নিয়ে একমত হয়েছে ভারত-চিন। তার পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

বুধবার দুই মন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই রাজনাথ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গালওয়ানের মতো ঘটনা আগামী দিনে আর যেন না হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, ভারত এবং চিন হল প্রতিবেশী। তাই সংঘাত নয়, সহযোগিতা থাকা উচিত দুই দেশের মধ্যে। ২০২০ সালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে দুই দেশকে। সংঘাত আটকানোর চেষ্টাও করতে হবে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দুই দেশকেই সচেষ্ট হতে হবে বলে জানান রাজনাথ।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে ভারত এবং চিন একমত হয়। গত ২৫ অক্টোবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে দুই দেশ। জানা যায়, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। আপাতত ডেপসাং এবং ডেমচকে সীমান্ত থেকে সরে গিয়েছে দুই দেশের সেনা। আগের মতোই টহলদারি চলছে সীমান্ত এলাকায়।

সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার। সেই একই সুর ধরা পড়ল দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, ভারত এবং চিন হল প্রতিবেশী। তাই সংঘাত নয়, সহযোগিতা থাকা উচিত দুই দেশের মধ্যে।
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে ভারত এবং চিন একমত হয়।
  • সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং।
Advertisement