সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। দুদেশের বন্ধুত্ব মাথাব্যথার কারণ ইউক্রেনেরও। কারণ যুদ্ধে মস্কোকে হাতিয়ার জোগাচ্ছে ইসলামিক দেশটি। এই অভিযোগ বহুবার উঠেছে। কিন্তু সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও ভয়ংকর কোনও হাতিয়ার মস্কোর হাতে তুলে দিতে পারে তেহরান। উলটোদিকে, ইজরায়েলের হুমকির মোকাবিলা করতে বন্ধুকে অস্ত্র দেবেন পুতিন।
আল জাজিরা সূত্রে খবর, রাশিয়ার সফরে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজস্কিয়ান। গতকাল শুক্রবার মস্কোয় তিনি আলোচনায় বসেন পুতিনের সঙ্গে। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। এই বৈঠকের পরই দ্বিপাক্ষিক অংশিদারিত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করেন তাঁরা। এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে দুদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। এছাড়া নিরাপত্তা, ব্যবসা, পরিবহণ ও শক্তির ক্ষেত্রেও একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে দুদেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বসার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন তিনি। এই বৈঠকের আগে পেজেস্কিয়ান-পুতিন সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন ট্রাম্প। যদিও এই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মস্কো।
অন্যদিকে, হাতিয়ারের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে দরবার করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলা প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যে দুর্বল হয়ে পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র শক্তিশালী করতে এবার ইটালির উপর ভরসা রাখছে কিয়েভ। জো বাইডেন জমানার অবসানের কথা মাথায় রেখে ইটালি-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট আরও মজবুত করতে চান জেলেনস্কি। তাই ইরানের থেকে নতুন নতুন হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে শক্তিশালী থাকতে চায় রাশিয়া।
