shono
Advertisement

লুহান্সকের পর ডোনেৎস্ক দখলের প্রস্তুতি রুশ সেনার, দোনবাসের পতন কি কেবল সময়ের অপেক্ষা?

লুহান্সক ও ডোনেৎস্ক নিয়ে তৈরি দোনবাস অঞ্চল।
Posted: 03:45 PM Jul 04, 2022Updated: 04:12 PM Jul 04, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় চার মাস ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। হাজার হাজার সেনার মৃত্যুতেও শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি নয় কেউই। তবে সময়ের সঙ্গে কিয়েভের অবস্থান যে দুর্বল হয়ে পড়ছে তা স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, সদ্য গোটা লুহান্সক অঞ্চল দখল করেছে রুশ ফৌজ। এবার তাদের নিশানায় রয়েছে ডোনেৎস্ক। ফলে দোনবাসের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

লুহান্সক ও ডোনেৎস্ক নিয়ে তৈরি দোনবাস অঞ্চল (Donbas)। ২০১৪ সাল থকেই পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে লড়াই চালাচ্ছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। গত শনিবার রাশিয়া দাবি করে, লুহান্সক অঞ্চলে ইউক্রেনের আধিপত্য শেষ করে দিয়েছে তারা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণ ভাবে রাশিয়ার আধীনে চলে এসেছে। এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই শোইগু। গত সপ্তাহেই সেভেরদোনেৎস্ক শহর দখল করেছিল রুশ বাহিনী। সোমবার রয়টার্সকে লুহান্সক প্রদেশের গভর্নর সেরহিয়ে গাইদাই জানান, লুহান্সক অঞ্চল দখল করেছে রুশ ফৌজ। এবার তাদের নিশানায় রয়েছে ডোনেৎস্ক। ফলে ওই অঞ্চলের স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুট শহরে প্রবল গোলাবর্ষণ করতে পারে পুতিনের বাহিনী।

[আরও পড়ুন: অ্যাটাক হেলিকপ্টারে শ্বশুরবাড়ি যাত্রা, তালিবান কমান্ডারের কাণ্ডে হতবাক দেশ]

আবেগমথিত গলায় সেরহিয়ে গাইদাই বলেন, “লুহান্সকের পতন অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি সেখানেই জন্মেছি। ওই অঞ্চলের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছি। এটা কষ্টের হলেও মনে রাখতে হবে আমরা যুদ্ধে হারিনি। সেনার জন্য ঘাঁটি হাতছাড়া হওয়া ভাল খবর নয়। তবে মাথায় রাখতে হবে শুধু লিসিচানস্ক শহর দখলে রাখার চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যুদ্ধ জয় করা। আমি মনে হয় না একবারেই সব সেনাকে অন্য কোনও ফ্রন্টে (ডোনেৎস্কে) পাঠাবে রাশিয়া (Russia)। কারণ, দখল করা জায়গায় পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা যদি সেনা সরায় আমাদের ফৌজ পালটা প্রত্যাঘাত করবে।”

উল্লেখ্য, দোনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহান্সকের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই জায়গাটিকেই তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দোনবাস রাশিয়ার (Russia) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জো ইনউড আগেই জানিয়েছিলেন, পূর্ব দোনবাসে রাশিয়া ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করেছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সেনা, কামান, সাঁজোয়া গাড়ি এবং বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে রাশিয়া অনেকটাই এগিয়ে।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাঁধে আমেরিকার বন্দুক! কিয়েভকে নতুন সামরিক প্যাকেজ দিচ্ছে ওয়াশিংটন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement