shono
Advertisement

ভারত-চিনের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন, কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সমঝোতার নেপথ্যে রয়েছে মস্কোর হাত, মত বিশ্লেষকদের।
Posted: 09:16 PM Jun 05, 2021Updated: 09:23 PM Jun 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিনের সম্পর্কে টানাপোড়েন নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন। বললেন, দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই যথেষ্ট দ্বায়িত্ববান। ওঁরা নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেবেন। তবে এই আলোচনায় তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয় মত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের (Russian President)।

Advertisement

ঠিক কী বললেন পুতিন? এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বললেন, “ভারত ও চিনের (India China Border Tension) মধ্যে বেশকিছু সমস্যা আছে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। আমি ভারত ও চিনের প্রধানদের আচরণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাঁর দুজনেই যথেষ্ট দায়িত্ববান। একে অপরকে যথেষ্ট সম্মান করেন তাঁরা। তাই যত সমস্যাই থাকুক দুজনের মধ্যে তাঁরাই এর সমাধান সূত্র বের করে ফেলবেন।” ভারত-চিনের সমস্যার মধ্যে তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুতিন। তাঁর কথায়, “ভারত-চিনের মধ্যে যাতে তৃতীয় কোনও শক্তি হস্তক্ষেপ না করে সেটার দিকের নজর রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

[আরও পড়ুন: মৃত্যুর খবর ‘রটনা’, বহাল তবিয়তেই রয়েছেন লাদেনের সহযোদ্ধা]

প্রসঙ্গত, লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের সমস্যা নিয়ে বরাবর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। এমনকী, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকার প্রশাসনিক কর্তাদের। কিন্তু রাশিয়া বরাবর মধ্যপন্থা অনুসরণ করেছে। চিন এবং ভারত উভয়ই রাশিয়ার দীর্ঘদিনের ‘বন্ধু’। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে কারোর পক্ষ নিয়ে অযথা সম্পর্ক খারাপ করতে চান না পুতিন। তাই ‘মধ্যমপন্থা’ নিলেন তিনি। পাশাপাশি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন দ্বিপাক্ষিত ইস্যুতে তৃতীয় শক্তি অর্থাৎ আমেরিকারও মন্তব্য করা উচিৎ নয়। বরং সমাধান পথ বাছাইয়ের বিষয়টি দুই দেশের প্রধানের উপর ছেড়ে দিলেন।

বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সমঝোতার নেপথ্যে রয়েছে মস্কোর হাত। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত এড়াতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। পর্দার আড়ালে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে পুতিন প্রশাসনের। বেজিং ও নয়াদিল্লি উভয়ের উপরই যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে মস্কোর। ক্রেমলিনের আশঙ্কা, পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের ফলে আমেরিকার আরও কাছে চলে গিয়েছে ভারত। তাই নয়াদিল্লির উপর মার্কিন প্রভাব খর্ব করতে মধ্যস্থতায় নেমেছিল রাশিয়া। তবে সেটাই কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বরং বিষয়টা দ্বিপাক্ষিক বলে এড়িয়ে গিয়েছেন পুতিন। 

[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন পাসপোর্ট উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বৈষম্যমূলক, জি-৭ বৈঠকে মন্তব্য হর্ষবর্ধনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement