সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মহিলাদের উপর বর্বর অত্যাচারের সাক্ষী রইল পাকিস্তান (Pakistan)। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠল নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। মারের চোটে বেহুঁশ হয়ে দীর্ঘক্ষণ মাটিতে পড়েছিলেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী।
করাচির গুলিস্তান-ই-জওহরের একটি বহুতল আবাসনে পরিচারিকার কাজ করতেন আক্রান্ত মহিলা সানা। তিনি চার-পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট রাতে সানার ছেলে সোহেল তাঁর মাকে খাবার দিতে এসেছিল ওই আবাসনে। সেই সময় আবাসনে ঢোকার চেষ্টা করতেই সোহেলকে আটকায় কয়েকজন। এদিকে ছেলের আসতে দেরি দেখে নিচে নেমে আসেন সানাও। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর।
[আরও পড়ুন: সুকান্তকে সরিয়ে রাজ্য BJP সভাপতি শুভেন্দু? দলে গুরুত্ব বাড়তে পারে দিলীপ-লকেটের]
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাদানুবাদ চলাকালীন সানাকে চড় মারে এক নিরাপত্তারক্ষী। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সানা। ওঠার চেষ্টা করতেই বুট দিয়ে তাঁর পেটে আঘাত করা হয়। যন্ত্রণার চোটে জ্ঞান হারান ওই মহিলা। সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ছেলে সোহেলকে আবাসনে ঢুকতে বাধা দেয় ইউনিয়নের তিন কর্মী আবদুল নাসির, আদিল খান এবং মহম্মদ খলিল। আমি নেমে আসতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালজ শুরু করে আদিল। নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেয় আমাকে মারধর করতে। গোটা ঘটনা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ কড়া অবস্থান নিয়েছেন। অভিযুক্তর কড়া শাস্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শাহ জানিয়েছেন,”একজন মহিলার গায়ে হাত তোলার সাহস পায় কী করে ওই নিরাপত্তারক্ষী?” উল্লেখ্য, পাকিস্তানে শুধুমাত্র জুন মাসে অপহৃত হয়েছেন ১৫৭ জন মহিলা, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১২ জন এবং ৯১ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে।