সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে 'বন্ধু' দেশ রাশিয়া। ইতিমধ্যে সপরিবারে নিরাপদে মস্কো পৌঁছে গিয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমের এমনটাই দাবি। আগেই মস্কোর তরফে দাবি করা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই দেশ ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিমানে দেশ ছাড়েন। ধোঁয়াশা ছিল দেশত্যাগী আসাদের গন্তব্য নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিষয়টিও প্রকাশ্য়ে এল।
রয়টার্সের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফেই সপরিবারে আসাদের মস্কোর পৌঁছনোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স উল্লেখ করেছে, স্ত্রী আসমা এবং সন্তানদের নিয়ে মস্কোয় পৌঁছেছেন আসাদ। রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনা করেই রাষ্ট্রনেতা ও তাঁর পরিবারকে এই আশ্রয়দান।
এর আগে রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিমানে চেপে রাজধানী ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট। আসাদের বিমান সংক্রান্ত তথ্য মেলে ফ্লাইটট্রেডার২৪.কম থেকে। সেখানে বলা হয়, আসাদের বিমান (Ilyushin Il-76T) প্রথমে দেশটির উপকূলের দিকে উড়ে যায়। পরে ইউটার্ন করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ওয়েবসাইটের লাইভ মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ফ্লাইটট্রেডারের তথ্য বলছে, অদৃশ্য হওয়ার আগে হুড়মুড় করে প্রায় ২ হাজার মিটার নিচে নেমেছিল বিমানটি।
অনুমান করা হচ্ছিল, তাহলে কি বিদ্রোহী বন্দুকবাজরাই বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে? নাকি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিমান! প্রধান প্রশ্ন, বিদ্রোহীদের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কি নিহত হয়েছেন? যদিও এর মধ্যেই কেউ কেউ বলছিলেন, নিরাপত্তার খাতিরেই আসাদের বিমানের গতিবিধি রাডার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। ‘বন্ধু’ রাশিয়ার নির্দেশে কোনও ‘মিত্র’ সেনাঘাঁটিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে।