সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের স্পিন বুলদাক প্রদেশের রাস্তায় ছুটছে সেনা ট্যাঙ্ক। তালিবান সরকারের দাবি, ওই ট্যাঙ্ক তারা পাক সেনার কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছে। যদিও তালিবানের ওই দাবি খারিজ করেছে ইসলামাবাদ।
এক্স হ্যান্ডলে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে, কাবুলে পাক সেনা হামলা চালিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রত্যাঘাত করে আফগান সেনা। তার ফলে বহু পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পাকিস্তানি অস্ত্রসস্ত্র এবং ট্যাঙ্কও আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি। যদিও তালিবানের ওই দাবি খারিজ করেছে ইসলামাবাদ। জানিয়েছে, ভিডিওতে যে ট্যাঙ্কগুলি দেখা যাচ্ছে, সেগুলি তাদের ‘ইনভেনটরি’র অংশ নয়। পাক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের রাস্তায় একটি ট্যাঙ্ক ছুটছে। কিন্তু সেটি আমাদের নয়। ওই মডেলের ট্যাঙ্ক আমাদের নেই।”
উল্লেখ্য, বুধবার সকালেই তালিবান বাহিনী সীমান্ত এলাকার পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। সংঘর্ষে নাস্তানাবুদ হয় পাক সেনা। পালটা স্পিন বোলদাকে পাক সেনা গুলি চালায়। এরপর ধুন্ধুমার সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা প্রত্যেকেই সাধারণ নাগরিক। আরও ১০০ জন আহত বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, এই হামলার পরেই ‘বন্ধু’ সৌদি আরব এবং কাতারের সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তান। যদিও সরকারিভাবে এই ফোনালাপের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাক-আফগান সীমান্তে সংঘর্ষ বাধল দুই দেশের সেনার মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকটিকায় হামলা হয়। যদিও ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি পাকিস্তান। এর আগে আফগানিস্তান জানিয়েছিল, সীমান্ত অপারেশনে ৫৮ পাক সেনাকে নিকেশ করা হয়েছে। অন্য দিকে পাকিস্তান জানায়, ২০০ আফগান সেনাকে খতম করেছে তারা। ইসলামাবাদের বক্তব্য, পাকিস্তান তালিবানরা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। যদিও কাবুল এই দাবি অস্বীকার করেছে।
