সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে বসেই মেক্সিকো সীমান্তে আবারও দেওয়াল গড়তে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! সোমবার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে তারকাখচিত সমারোহে শপথ নিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিলেন তিনি। বললেন, 'অনুপ্রবেশ' ঠেকাতে প্রথম দিনই আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশনামায় সই করবেন তিনি।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে মার্কিন নীতির অভিমুখ যে আমূল বদলে যাবে সেই সঙ্কেত পাওয়াই যাচ্ছিল। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ, বাণিজ্য নীতি, অভিবাসন এবং 'কখনও শেষ না হওয়া যুদ্ধ' থামাতে রিপাবলিকান নেতা যে বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ করতে চলেছেন তা এখন স্পষ্ট। মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় আশ্রয়ের খোঁজে আসা জনজোয়ারকে এদিন অপরাধী ও ভিন্ন দুনিয়ার লোক বলে দেগে দেন তিনি। জানান, মেক্সিতো সীমান্তে আরও সেনা পাঠানো হবে। তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে সোনালি আমেরিকার স্বপ্ন বিলি করে ট্রাম্পের জয়ঘোষ, 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন'।
উল্লেখ্য, বহু অভিবাসীই আমেরিকায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। যতদিন না তাদের আইনগত আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তারা কোনও সরকারি সুবিধা পায় না তা ঠিকই। কিন্তু এর ফলে জনসংখ্যার উপর চাপ বাড়ে। প্রভাব পড়ে কর্মসংস্থান এবং পরিবেশের উপরেও। তাই ২০১৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেআইনি অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশেষ করে নজরে ছিল মেক্সিকো। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তৎকালীন নির্দেশে আমেরিকার দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যারা বেআইনিভাবে সে দেশে ঢুকবেন, তারা আশ্রয় চাওয়ার সুযোগই পাবে না। তাদের আটক করতে বা নিজের দেশে ফেরত পাঠাতে পারবে মার্কিন প্রশাসন। একইসঙ্গে বিস্তীর্ণ সীমান্তজুড়ে দেওয়াল গড়ার কাজও শুরু করেছিল প্রশাসন। বাইডেন জমানায় তা বন্ধ হয়ে যায়।