সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ কম্পনের পর আপাতত শান্ত জাপান। সোমবার রাতে ৭.৬ রিখটার স্কেলে কেঁপে ওঠে দেশের উত্তরপ্রান্ত। জাপানজুড়ে জারি হয় সুনামি সতর্কতা। তবে মঙ্গলবার সকালে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে দেশবাসীকে সাবধানে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জাপান প্রশাসন। যদিও প্রথম কম্পনের পর আশঙ্কা ছিল, আগামী কয়েকদিনে বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে জাপানে।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫মিনিট নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূল। এর পরই জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তরফে হোক্কাইডো, আওমোরি এবং ইওয়াতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। সমুদ্রের ঢেউ ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া সংস্থা। আতঙ্ক তৈরি হয় গোটা জাপানজুড়ে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি ফাঁকা করতে শুরু করে সেদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় সেদেশের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে।
তবে সোমবার রাতের পর থেকে জাপানে নতুন করে কম্পন হয়নি। সমুদ্রে সর্বোচ্চ ২৭ ইঞ্চি পর্যন্ত ঢেউ উঠতে দেখা গিয়েছে। কম্পনের জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন, এমনটাই জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানাই তাকাইচি। জাপানের উত্তর প্রান্তে বেশ কিছু এলাকায় রেল চলাচল একেবারে বন্ধ রাখা হয়েছে। অধিকাংশ ট্রেনই চলছে দেরি করে। আমজনতাকে স্বস্তি দিয়ে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির তরফে জানানো হয়, সেখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কম্পনের পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পরে তা ফিরেছে। তার পরেই প্রত্যাহার হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
উল্লেখ্য, সোমবার ভূমিকম্পের পরেই ফুকুশিমার ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়েছিল আমজনতার। ২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে সুনামি। দানবীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা আণবিক কেন্দ্র। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে দেশটি। তারপরই ফুকুশিমার ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ১২৫ মিলিয়নের দেশে প্রতি বছর দেড় হাজার বার ভূমিকম্প হয়।
