shono
Advertisement

যুদ্ধে নষ্ট হয়েছে ২৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি, খাদ্যসংকটের আশঙ্কা উসকে জানাল ইউক্রেন

যুদ্ধে দেশটির পূর্বপ্রান্তের শিল্পাঞ্চলগুলি কার্যত ধুলোয় মিশে গিয়েছে।
Posted: 09:22 AM Jun 14, 2022Updated: 10:09 AM Jun 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে নষ্ট হয়ে গিয়েছে দেশের ২৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি। খাদ্যসংকটের আশঙ্কা উসকে এমনটাই জানিয়েছে ইউক্রেন। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে দেশটির পূর্বপ্রান্তের শিল্পাঞ্চলগুলি কার্যত ধুলোয় মিশে গিয়েছে। তার উপর চাষযোগ্য জমি নষ্ট হওয়ায় ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

সোমবার ইউক্রেনের (Ukraine) ডেপুটি এগ্রিকালচারাল মিনিস্টার তারাস ভিসতস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধের জেরে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে ২৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি। বিশেষ করে, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বপ্রান্ত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দেশের জনতাকে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, কৃষিজমি নষ্ট হলেও দেশে যথেষ্ট পরিমাণে শস্য উৎপাদন হচ্ছে। ফলে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে, এমনটা মনে করার বিশেষ কারণ নেই। এক সংবাদ সম্মেলনে তারাস ভিসতস্কি বলেন, “পচিশ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হলেও এবছর যেভাবে চাষ করা হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত ফলন হবে। তাই ইউক্রেনে খাদ্যশস্যের কোনও অভাব হবে না।”

[আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! ‘উসকানি’ রুখতে আমলাদের ছাঁটাই করার নিদান কিম জং উনের]

বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনকে ইউরোপের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। উর্বর জমি ও চাষবাসের আধুনিক পদ্ধতির জেরে গম থেকে শুরু করে বিশাল পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপন্ন করে দেশটি। এবং তা রপ্তানি করে বিদেশি মুদ্রার ভালই আয় হয় কিয়েভের। কিন্তু যুদ্ধের জেরে পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে। মারিওপোল-সহ ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে আমদানির জন্য মজুত থাকা শস্য আটকে দিয়েছে রাশিয়া বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া (রাশিয়া)। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে রাশিয়া। পাশাপাশি, মারিওপল ও দোনবাস অঞ্চলে অভিযান তীব্র করে তোলে পুতিনের বাহিনী। এখনও দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় ফৌজের।

সূত্রের খবর, ইউক্রেন যদি মস্কোর বেঁধে দেওয়া শর্তাবলি মেনে নেয় তাহলে সেদেশে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধ করবে রাশিয়া। সূত্রের খবর, যুদ্ধ বন্ধ করার প্রধান শর্ত হচ্ছে ইউক্রেন যেন কোনওভাবেই ন্যাটো গোষ্ঠীতে যোগ না দেয়। তাছাড়া, অধিকৃত ক্রাইমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে কিয়েভকে। পাশাপাশি, রুশপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনবাসের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করতে হবে জেলেনস্কি সরকারকে।

[আরও পড়ুন: ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রবাসীদের দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement