গৃহযুদ্ধে জর্জর মায়ানমারে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি, চাপ বাড়ল সেনাশাসকদের

09:50 AM Aug 16, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জর্জর মায়ানমারে পৌঁছলেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি নেলেন হেজার। গত অক্টোবর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মায়ানমার সফর। সোমবার রাজধানী নাইপিদাও পৌঁছলেও কারাবন্দি আং সান সু কি-র সঙ্গে তিনি আদৌ সাক্ষাৎ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Advertisement

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জননেত্রী আং সান সু কি-র গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে টাটমাদাও বা দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে প্রবল প্রতাপশালী সামরিক জুন্টা। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনটগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহ দমনে অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী বলে অভিযোগ। আর এনিয়ে সরব হয়ছে আন্তর্জাতিক মহল। মানবিকতার খাতিরে দেশে ত্রাণকার্য চালাতে অবাধ যাতায়াতের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ, এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রতিনিধি নেলেন হেজারের সফর জুন্টার ইপর চাপবৃদ্ধি করেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

[আরও পড়ুন: ‘ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক নেতাজির চিতাভস্ম’, স্বাধীনতা দিবসেই দাবি সুভাষ কন্যার]

বিশেষ প্রতিনিধি হেজারের সফর নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের (UN) মুখপাত্র স্তেপানে দুজারিক। তিনি বলেন, “মায়ানমারে যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবেন হেজার। সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ ও এই লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরই এই সফরে গিয়েছেন তিনি।” তবে, জেলবন্দি আং সান সু কি-র সঙ্গে তিনি আদৌ সাক্ষাৎ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র।

Advertising
Advertising

উল্লেখ্য, বর্তমানে মায়ানমারের (Myanmar) রাজধানী শহরের কারাগারে বন্দি রয়েছেন সু কি। আগেই দোষী সাব্যস্ত বেশ কয়েকটি মামলায় ১১ বছরের জেল হয় তাঁর। তারপর সোমবার ফের ৬ বচড়েরে জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিকে অন্যবারের মতোই মায়ানমার আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সরব হয়ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। দ্রুত সু কি’র মুক্তি দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও মাথা নত করতে নারাজ প্রবল ক্ষমতাশালী জুন্টা।

[আরও পড়ুন: ভারত ‘অপরিহার্য সহযোগী’, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের]

Advertisement
Next