সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি প্রস্তাবে সিলমোহর দিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সোমবার ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩টি। উল্লেখযোগ্য বিষয়, রাশিয়া ও ইউক্রেন এই প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। শান্তি প্রস্তাবে ট্রাম্পের তরফে মোট ২০টি রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশে নামানো হবে আন্তর্জাতিক সেনা। ভাঙলেও মচকাতে নারাজ হামাস। ট্রাম্পের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে।
২০২৩ সাল থেকে ভয়ংকর যুদ্ধে কার্যত নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে গাজা। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই এই যুদ্ধ থামাতে উদ্যত হন। ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে বেশ কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি হলেও স্থায়ী শান্তি আসেনি। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথ দেখাতে 'গাজা পিস প্ল্যান' প্রস্তুত করেন ট্রাম্প। যা সোমবার রাষ্ট্রসংঘে পাশ হয়ে যাওয়ার ফলে এই শান্তি প্রস্তাব এখন শুধু আর আমেরিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না। তা পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিশেষজ্ঞদের আশা, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্পের পেশ করা এই শান্তি প্রস্তাবে যে ২০টি পয়েন্টের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গাজায় একটি অন্তর্বতী দল তৈরি হবে। তারা গাজায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শোধরানোর চেষ্টা করবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নামানো হবে আন্তর্জাতিক সেনা। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা দেখবে এই বাহিনী। চলবে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া। এর পাশাপাশি গাজায় নতুন সরকার গঠন করতেও উদ্যোগ নেবে রাষ্ট্রসংঘ।
তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক শিলমোহর পেলেও এই প্রস্তাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হামাস। তাঁদের মতে, এই উদ্যোগ প্যালেস্টাইনের মানুষের অধিকারের পরিপন্থী। বিশেষ করে, গাজায় আন্তর্জাতিক সেনা নামানোর তীব্র বিরোধীরা করেছে হামাস। নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়াও তারা মানবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে হয়ত শান্তিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে হামাস। সবমিলিয়ে হামাসের আপত্তি উড়িয়ে গাজায় এই উদ্যোগ কতদূর সফল হবে সেটাই এখন দেখার।
