shono
Advertisement

প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা

ফের তুঙ্গে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই।
Posted: 10:51 AM Apr 16, 2021Updated: 11:01 AM Apr 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মসনদে পালাবদলের পর আরও তিক্ত হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক। ফের তুঙ্গে পৌঁছেছে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই। এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে নাক গলানো ও সে দেশে সাইবার হামলা-সহ একাধিক শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে উত্তেজনা প্রশমনে গোপন বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা আধিকারিকরা]

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল চওড়া করে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পাশাপাশি ১০ রুশ কুটনীতিবিদকেও আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করল বাইডেন প্রসাশন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আমেরিকার ব্যাংকগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে ১০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের বিরোদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রয়েছে। এ ছাড়া গত বছর হওয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে আরও ৩২ জন রাশিয়ার নাগরিকের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “রাশিয়া যদি স্থিতিশীলতাকে ধাক্কা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যায় তা হলে কৌশলগত ভাবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে যাতে আরও প্রভাব ফেলা যায় এমন পদক্ষেপ করবে আমেরিকা।”

এদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরম মাত্রা পেটে পারে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ও দেশে জনমত পক্ষে রাখতে জেনে বুঝেই নিষেধাজ্ঞার মতো ‘সাজানো পদক্ষেপ’ করেছে আমেরিকা। তবে এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। পালটা মার্কিন কুটনীতিবিদের বহিষ্কার করতে পারে রাশিয়া।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেই ১৫ পাতার এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছিল, গত নভেম্বরে নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে কলকাঠি নেড়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ৭৮ বছরের বাইডেন বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান  যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জেতাতে চক্রান্ত করেছিলেন, সেজন্য মূল্য চোকাতে হবে তাঁকে। কেবল এটুকুই নয়। এরই পাশাপাশি তাঁকে ‘খুনি’ বলেও আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ খাইয়ে খুনের জন্য তিনি অভিযুক্ত করেন পুতিনকে। তাঁর এমন মন্তব্য ঘিরে ফের দু’দেশের ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র আবহই যেন ফিরে আসতে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: সেনাশাসনের প্রতিবাদ করায় মায়ানমারে ফিল্মি কায়দায় অপহৃত বিরোধী নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement