shono
Advertisement

আফগানিস্তানকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে সেনা প্রত্যাহার শুরু আমেরিকার

১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া।
Posted: 10:27 AM May 01, 2021Updated: 10:27 AM May 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইন টাওয়ার হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই দশক। ‘সর্বশক্তিমান’ মার্কিন ফৌজের চাপে মসনদ খুইয়েছে তালিবানরা। মনে করা হয়েছিল হয়তো শান্তি ফিরবে কাবুলিওয়ালার দেশে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে শান্তি আলোচনা চললেও ফের আফগানিস্তানকে রক্তাক্ত করছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার অর্থাৎ আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করল আমেরিকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ডামাডোলে অনাহারে ভুগবেন অর্ধেক মায়ানমারবাসী, উদ্বেগে রাষ্ট্রসংঘ]

২০২০ সালে প্রায় দুই দশক ধরে পাহাড়ি দেশটিতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করছে মার্কিন ফৌজ। আরও সহজ করে বলতে গেলে, কাবুলকে তালিবানের হাতে যাওয়ার থেকে বাঁচিয়ে এসেছে আমেরিকার সৈনিকরা। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাপ ও ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার পর আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেইমতো আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হল। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকার। কারণ, মার্কিন ফৌজ সরে গেলে তালিবানকে রোখার মতো আর কোনও শক্তি সেই দেশে নেই। ফলে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ফের শরিয়ত আইন লাগু করার উদ্দেশ্যে দেশ দখল করবে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।

এদিকে, মার্কিন ও ন্যাটো সৈনিকদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে কাবুল ও নিকটবর্তী বাগরাম বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আমেরিকার ফৌজের গতিবিধি বেড়েছে। প্রচুর মার্কিন হেলিকপ্টার ও বিমান সেখানে পৌঁছেছে। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার বাগরাম বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই সৈনিকের। আহত অন্তত ২৫। এই ঘটনার দায় এখনও পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও তালিবানের দিকে আঙুল উঠছে।

[আরও পড়ুন: করোনা টিকার ফর্মুলা সবার হাতে দিতে রাজি নন বিল গেটস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement