shono
Advertisement

ন্যাটোয় সুইডেন ও ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার হুমকি উড়িয়ে সবুজ সংকেত মার্কিন সেনেটের

ইউরোপে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল 'আঙ্কেল স্যাম'।
Posted: 08:27 AM Aug 04, 2022Updated: 08:27 AM Aug 04, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাটো সামরিক জোটে সদস্যপদ প্রায় পাকা করে ফেলেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও বুধবার দুই দেশের সদস্যপদে সিলমোহর দিয়েছে মার্কিন সেনেট। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে সম্মতি দেওয়ায় উত্তর ইউরোপে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল ‘আঙ্কেল স্যাম’।

Advertisement

সোভিয়েত রাশিয়াকে রুখতে ১৯৪৯ সালে ন্যাটো সামরিক জোট তৈরি করে আমেরিকা। বর্তমানে এই গোষ্ঠীর সদস্য ৩০টি দেশ। ন্যাটোর আইন মোতাবেক সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তির জন্য সব সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সবুজ সংকেত দিয়েছে ২২টি সদস্য দেশ। বাকিরাও দ্রুত সম্মতি জানাবে বলে সূত্রের খবর। এদিন ১০০ সদস্যের সেনেটে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে। শুধুমাত্র মিসোরির রিপাবলিকান সেনেটর জশ হাওলি বিপক্ষে ভোট দেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই বিষয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে যে সহযোগিতা দেখা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দুই দলই রাশিয়াকে রুখতে বদ্ধপরিকর।

[আরও পড়ুন: ‘শান্তিভঙ্গ করছে আমেরিকা’, তাইওয়ান ইস্যুতে চিনের পাশে দাঁড়াল পাকিস্তান]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন সেনেটে উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী পেককা হাবিসতো। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন সুইডেনের বিদেশমন্ত্রি অ্যান লিন্ডেও। জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনেটে সবুজ সংকেত মেলার পর এবার ন্যাটোর (NATO) বাকি সদস্য দেশগুলিও নিজেদের পার্লামেন্টে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে অনুমতি চেয়ে প্রস্তাব পেশ করবেন। তবে এটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মাত্র বলেই মত বিশ্লেষকদের। কারণ, আমেরিকা রাজি হওয়ায় বাকি সদস্য দেশগুলির আর সেই অর্থে আপত্তির কোনও যুক্তি নেই।

উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে, এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলাকালীনও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলার পরই নিরপেক্ষ অবস্থানে ইতি টানে দুই ইউরোপীয় দেশ। ফলে স্বভাবিকভাবেই চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না রাশিয়া (Russia)। তাছাড়া, আমেরিকা ও পশ্চিমের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে বিপাকে পড়েছে মস্কো। একইসঙ্গে, চিন ও ভারতের মতো ‘বন্ধু’ দেশগুলিও চাইছে যুদ্ধ বন্ধ হোক। তাই আপাতত হুমকি দিলেও নতুন কোনও ফ্রন্ট খুলতে চাইছে না পুতিন বাহিনী।

[আরও পড়ুন: লালচিনের মাথাব্যথার কারণ তাইওয়ানের ‘লৌহমানবী’, কে এই মহিলা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement