সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা করে কাজ করার নিদান দিয়েছেন এলঅ্যান্ডটি-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম। এমনকী রবিবারেও স্ত্রীর সঙ্গে সময় না কাটিয়ে অফিসে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। সুব্রহ্মণ্যমের পরামর্শ যে স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ঠিক নয় তা জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরাও। ডাক্তারদের দাবি, এলঅ্যান্ডটি-কর্তার প্রস্তাব মেনে কাজ করলে মানবশরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ বিকল হয়ে যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। হার্টের অসুখে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপেলো হাসপাতালের হার্ট ও ফুসফুস প্রতিস্থাপন সার্জন ডা. মুকেশ গোয়েলের মতে, "দীর্ঘ সময় কাজ করলে স্ট্রেস বাড়ে। যার ফলে কর্টিজল ও অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মতো স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এর জন্য ক্রনিক হাই ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর বেড়ে যায়।"
সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে রক্তবাহী শিরা সরু হয়ে গিয়ে হার্টের রক্ত সংবহন ব্যাহত করে। একইসঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। স্ট্রেস হরমোন বাড়ে। পাশাপাশি অনেকক্ষণ কাজ করলে সঠিক সময় খাবার খাওয়ার ফুরসত হয় না। যার ফলে হাইসুগারের ঝুঁকি বাড়ে। কাজের চাপে ঘুম কম হলে মেটাবলিক কার্যক্ষমতা কমে, কোলেস্টেরল বাড়ে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, ওজন বাড়ে, ওবেসিটি হয়, ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে, হজমের গন্ডগোল দেখা যায়। অতিরিক্ত কাজের চাপে স্ট্রেস, উদ্বেগ বাড়ে, যা হার্টের অসুখকে ডেকে আনে।