সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জানা গেল কোথায় থাকবেন নিউ ইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি। সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পরেই নিজের ৮০০ বর্গফুটের আবাসন ছেড়ে তিনি চলে যাবেন মেয়রের জন্য নির্ধারিত প্রাসাদে। ট্রাম্প-সাক্ষাতেই কি তিনি মত বদল করলেন? কী হবে তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ভবিষ্যৎ? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরছে নিউ ইয়র্কের অন্দরে।
নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি সোমবার জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারী দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি কুইন্সের ভাড়া-নিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে ম্যানহাটনের মেয়রের সরকারী বাসভবনে চলে যাবেন। গত মাসের নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী মামদানি আপার ইস্ট সাইডে গ্রেসি ম্যানশনে থাকবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুঙ্গে।
১০,০০০ বর্গফুটেরও বেশি আয়তনের এই প্রাসাদটি ১৭৯৯ সালে নির্মান করা হয়। ১৯৪২ সাল থেকে এটি মেয়রের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও, মেয়রদের সেখানে বসবাস করার বিষয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সেই কারণেই বার বার প্রশ্ন ওঠে মামদানি কোথায় থাকবেন। মামদানির প্রচারের কেন্দ্রে ছিল সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন। তাই সবার প্রশ্ন ছিল নিজের ছোট অ্যাপার্টমেন্টেই তিনি থাকবেন কিনা।
যদিও, কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নিজের প্রচারের দাবি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নিজের জন্য প্রাসাদকেই বেছে নিয়েছেন মামদানি। সাম্প্রতিক অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। যদিও, নির্বাচনে জয়ের রাতে সরাসরি আক্রমণ করলেও পরবর্তী সময়ে দুই নেতার বৈঠক যে বেশ মসৃণ হয়েছে তা বোঝা যায় বৈঠকের পরের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। এবার, নিজের থাকার জন্য প্রাসাদ বেছে নেওয়ায় নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন নিজের প্রচারের দাবিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন তিনি?
এক বিবৃতিতে মামদানি বলেছেন যে তিনি এবং তার স্ত্রী, চিত্রশিল্পী রমা দুয়াজি, নিরাপত্তার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তাঁরা অভিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য পরিচিত আস্তোরিয়ায় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না। মামদানি জানিয়েছেন, 'আমাদের শহর যখন এক ভয়াবহ মহামারী, অভিবাসীদের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ এবং বছরের পর বছর ধরে ক্রয়ক্ষমতার সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমরা এই পাড়াটিকেই আমাদের বাড়ি বলে ভাবতাম। বারবার, এই সম্প্রদায় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবকিছু মিস করব।'
যদিও, মামদানি তাঁর বর্তমান বাসস্থান নিয়েও বার বার আক্রমণের মুখে পড়েছেন। তিনি নিজের ভাড়া-নিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্টের জন্য মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার দেন। এই ভাড়া নিউ ইয়র্কের মানদণ্ড হিসেবে খুবই সাধারণ বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, তাঁর সমালোচকদের দাবি, স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে তাঁর বেতন এবং তাঁর স্ত্রীর আয় বিবেচনা করলে, ভর্তুকিযুক্ত এই আবাসনে তাঁদের থাকা উচিত নয়।
