সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঝাড়খণ্ডের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে আগামী মার্চে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার আদানি পাওয়ার লিমিটেডের নির্মাণাধীন ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব বলেন তিনি। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য ডেডিকেটেড পাওয়ার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সঙ্গে গ্রিড লাইন যুক্ত করে সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ দিয়ে পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) এ তথ্য জানিয়েছে। আদানির প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত করা গেলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে এক হাজার ৯৬০ মেগাওয়াটে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতা (১৪৯৫ মেগাওয়াট) অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াটে।
[আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা, বাংলাদেশে লাগু নতুন আইন]
এই বিষয়ে মন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চের মাঝামাঝি পাওয়া যেতে পারে। আগামী গ্রীষ্মের চাহিদা পূরণে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানির বিকল্প উৎসও খোঁজা হচ্ছে। কম মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ ও ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ভারতের ঝাড়খণ্ডে ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দু’টি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন কাজ পিজিসিবি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনকালে অন্যন্যের মধ্যে বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সলমন এফ রহমান ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় শিল্পপতিদের ভরসার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। সলমন জানিয়েছিলেন, টাটা, বিড়লা, আদানি ছাড়াও মধ্যমমানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী। ভারতীয় ঋণে বাংলাদেশে অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে। টাটা, বিড়লা, আদানি ছাড়াও মধ্যমমানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সেখান থেকে উৎপাদিত পণ্য দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বাজারে সরবরাহ করবে।