সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৩১ বছর পর হাসিমপুর গণহত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল দিল্লি হাই কোর্ট৷ ৪২ জনকে হত্যার এই ঘটনায় বুধবার রায় ঘোষণা করে আদালত৷ অভিযুক্ত ১৬ জন পিএসি (প্রভিনশিয়াল আর্ম কনস্টেব্যুলারি) জওয়ানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক৷
[রাফালে ধাক্কা কেন্দ্রের, ১০ দিনের মধ্যে দাম জানানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
১৯৮৭ সালের ২২ মে উত্তরপ্রদেশের হাসিমপুরে একটি মসজিদের সামনে পাঁচশোজন জড়ো হয়েছিলেন৷ একের পর এক খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের দেহ৷ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় এই হত্যাকাণ্ডে ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে৷ এই ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৯৯৬ সালে চার্জশিট পেশ হয়৷ চার্জশিটে ১৯ জনের নাম ছিল৷ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ ২০০৬ সালে ১৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়৷ এই মামলাতেই ট্রায়াল কোর্টের রায়ে ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়৷ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ তাদের দাবি ছিল, পিএসসি জওয়ানেরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে খুন করেনি৷ যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিজনদের সংগ্রহ করা সমস্ত তথ্য সঠিক নয় বলেও দাবি করা হয়েছিল৷ বিচারপতি এস মুরলিধর এবং বিনোদ গোয়েলের ডিভিশন বেঞ্চেই হাসিমপুর গণহত্যা প্রসঙ্গে সেই মামলার শুনানি চলছিল৷ বুধবার তাঁরাই মামলার রায় ঘোষণা করেন৷ অভিযুক্ত ১৬ জন পিএসি (প্রভিনশিয়াল আর্ম কনস্টেব্যুলারি) জওয়ানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারকরা৷ সাজাপ্রাপ্তরা হল সুরেশ চাঁদ শর্মা, নিরঞ্জন লাল, কমল সিং, বুধি সিং, বসন্ত বল্লব, কানওয়ার পাল সিং, বুধা সিং, রামবীর সিং, লীলা ধর, হামবীর সিং, মোকাং সিং, শামি উল্লাহ, সারান কুমার, জয়পাল সিং, মহেশ প্রসাদ এবং রাম ধায়ান৷ বুধবার দুই বিচারপতিই বলেন, ‘‘হাসিমপুর গণহত্যায় নিহতদের পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছিল৷ নিহতদের পরিজনদের সুবিচার পাওয়ার জন্য ৩১ বছর অপেক্ষা করতে হল৷’’
[মালেগাঁও কাণ্ডে বিপাকে কর্নেল পুরোহিত, ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ]
৩১ বছর ধরে সুবিচারের অপেক্ষায় ছিলেন নিহতদের পরিজনেরা৷ এতদিন পর বিচার পেয়ে খুশি তাঁদের পরিবার৷ গণহত্যা মামলায় নিহতের বাবা জামালউদ্দিন বলেন, ‘‘এত বছর পর সুবিচার পেয়ে আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ৷’’
The post ৩১ বছর পর হাসিমপুর গণহত্যা মামলায় রায়দান দিল্লি হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.