সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) নিয়ে সংঘাতের আবহে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিন। বারুদ ঠাসা পূর্ব ইউরোপে যাতে যুদ্ধের বিস্ফোরণ না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই দ্রুত এই বৈঠক হবে বলে সোমবার জানিয়েছে ফ্রান্স।
[আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেনে হামলা চালাবেই রাশিয়া’, বাইডেনের আশঙ্কার মাঝেই পরমাণু যুদ্ধের মহড়া শুরু মস্কোর]
গতকালই আমেরিকা দাবি করেছিল যে রুশ ফৌজকে ইউক্রেনে হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাছাড়া, পরিস্থিতি আরও জটিল করে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাক পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে লড়াই তুঙ্গে। বলে রাঝা ভাল, ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তে অর্থাৎ দোনবাস অঞ্চলে ডোনেৎস্ক ও লুহান্স্ক প্রদেশ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। মস্কোর প্রচ্ছন্ন মদতেই তারা ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ চালায় বলে দাবি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। কয়েকদিন ধরেই সেখানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ ভাষাভাষি জনতাকে বাঁচাতে মস্কো হামলা চলতে পারে নলে আশঙ্কা।
এদিকে, রাশিয়া হামলা চালালে পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত আমেরিকা ও ন্যাটো গোষ্ঠী। পরমাণু যুদ্ধের মহড়াও চালিয়েছে রাশিয়া। ফলে ক্রমে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এহেন সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তাঁরই উদ্যোগে বৈঠকে বসতে চলেছেন পুতিন ও বাইডেন। অন্যদিকে, থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে বৈঠকের বার্তা দিয়েছেন। জ়েলেনস্কি মিউনিখ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক রাস্তাই অবলম্বন করবে ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ডনবাসের পরিস্থিতি গুরুতর। ইউক্রেনকে সতর্ক করে তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও ছোট ঘটনাও পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। এর পরিণাম হতে পারে ভয়ঙ্কর। রাশিয়া কোথাও আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে না বলে পশ্চিমী দেশগুলিকে বার্তাও দিয়েছেন পেসকভ।