সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ১৪ বছরের ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক মওলানা ফয়েজউদ্দিনকে (৫০) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা।
[আরও পড়ুন: হতাশা থেকে অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা, শরণার্থীদের দুর্দশা তুলে ধরলেন হাসিনা]
জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। বলাৎকারের অভিযোগে মওলানা ফয়েজউদ্দিনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মাদ্রাসা থেকে ফয়েজউদ্দিনকে আটক করে পিটুনি দেওয়ার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ফয়েজউদ্দিন উপজেলার মুহাম্মদিয়া তাহফিজুল কোরান মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে, ফেনির পরশুরাম উপজেলায় এক শিশুকে (৯) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম আফাজউদ্দিন (২৪)। তার বাড়ি উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে। শিশুটি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে তাকে আরবি পড়াত অভিযুক্ত আফাজউদ্দিন। ঘটনার দিন বাড়িতে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে বলে অভিযোগ। সে সময় শিশুটি চিৎকার ও কান্না শুরু করে। কান্নার শব্দ শুনে শিশুর মা ঘরে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নুসরতের৷ ওই মামলায় আদালত ১৬ জন দোষীকে ফাঁসির সাজা দেয়।